সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন - সৌদি আরবে যেতে কত টাকা লাগে
সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকাসৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া, বেতন কাঠামো এবং খরচ সম্পর্কে
বিস্তারিত জানুন। কোন কাজে সবচেয়ে বেশি বেতন, ড্রাইভিং ভিসার আয় কত, এবং আরামকো
বা সাবিচের মতো বড় কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ কীভাবে পাবেন?
আপনার বিদেশ যাওয়ার খরচ, সঠিক ভাবে ভিসা চেক পদ্ধতি এবং ফ্রি ভিসার ঝুঁকি ও
কোম্পানি ভিসার সুবিধা সম্পর্কে জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়তে থাকুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন করতে চাচ্ছেন চলুন জানা যাক। সৌদি আরবের কোম্পানি
ভিসা একটি কর্মসংস্থান ভিসা, যা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই সৌদি আরবের একটি কোম্পানি
থেকে চাকরির অফার লেটার এবং স্পন্সরশিপ পেতে হবে। আপনার নিয়োগকর্তা আপনার জন্য
শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করার পর, আপনি ভিসা অথরিজেশন লেটার
নিয়ে আপনার দেশের সৌদি দূতাবাস বা অনুমোদিত কেন্দ্রে (যেমন VFS Tasheel) আবেদন
করতে পারেন। ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আপনার পাসপোর্ট, মেডিকেল ফিটনেস
রিপোর্ট, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে, এবং
আপনি আপনার ভিসা প্রস্তুত হয়েছে কিনা তা MOFA বা আবশের প্ল্যাটফর্মে চেক করতে
পারবেন। সাধারণ কোম্পানি ভিসায় সৌদি আরবে যেতে আনুমানিক ২,০০,০০০ থেকে ৩,০০,০০০
খরচ হতে পারে, তবে অনানুষ্ঠানিক "ফ্রি ভিসার" খরচ অনেক বেশি হয়ে থাকে এবং এর
আইনি ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত।
সৌদি আরবে আপনার মাসিক বেতন নির্ভর করে আপনার কাজের দক্ষতা, পদমর্যাদা এবং কোন
খাতে কাজ করছেন তার উপর। সাধারণ লেবার বা অদক্ষ শ্রমিকদের বেতন সাধারণত ১,২০০ SAR
থেকে ২,০০০ SAR এর মধ্যে থাকে, যেখানে প্রায়শই থাকা-খাওয়ার সুবিধা অন্তর্ভুক্ত
থাকে। তবে, পেট্রোলিয়াম, অবকাঠামো, আইটি এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে উচ্চ বেতনের
সুযোগ বেশি, যেখানে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার এবং ম্যানেজাররা ৬,০০০ SAR থেকে
শুরু করে ২০,০০০ SAR বা তারও বেশি বেতন পান। উচ্চ বেতনের জন্য বিশেষায়িত শিক্ষা,
অভিজ্ঞতা এবং উন্নত যোগাযোগ দক্ষতা অপরিহার্য। ড্রাইভিং ভিসার বেতনও ২,০০০ SAR
থেকে ৩,৫০০ SAR পর্যন্ত হতে পারে, যা কোম্পানির ধরন বা ব্যক্তিগত স্পন্সরশিপের
উপর নির্ভরশীল।
সৌদি আরবের অন্যতম বৃহৎ নিয়োগকারী কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরামকো
(Saudi Aramco), সাবিচ (SABIC) এবং সৌদি বিনলাদিন গ্রুপ (Saudi Binladin Group)।
এসব কোম্পানি নিয়মিতভাবে বিপুল সংখ্যক আন্তর্জাতিক কর্মী নিয়োগ করে। কাজের
সুযোগ পেতে হলে এসব বড় কোম্পানিতে আবেদন করা উচিত, যা আপনাকে একটি স্থিতিশীল
কর্মপরিবেশ ও উন্নত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে। সংক্ষেপে, একটি বৈধ কোম্পানি ভিসার
মাধ্যমে সৌদি আরবে যাওয়া তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ও লাভজনক, তবে প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র এবং খরচের বিষয়ে সঠিক তথ্য নিয়ে এগোলে আপনার যাত্রা আরও সহজ হবে।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত
সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসায় একজন কর্মীর বেতন নির্ভর করে তার পদমর্যাদা, কাজের
ধরণ, অভিজ্ঞতা এবং কোম্পানির আকারের উপর। সাধারণ লেবার বা অদক্ষ শ্রমিকদের বেতন
সাধারণত তুলনামূলকভাবে কম হয়, তবে তা থাকা-খাওয়া ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ওপর
ভিত্তি করে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। একজন সাধারণ শ্রমিকের মাসিক বেতন সাধারণত
১,২০০ রিয়াল (SAR) থেকে ২,০০০ রিয়ালের মধ্যে হতে পারে, এর সাথে ওভারটাইম এবং
অন্যান্য বোনাস যোগ হতে পারে।
অন্যদিকে, দক্ষ কর্মী, যেমন টেকনিশিয়ান, ইঞ্জিনিয়ার, বা ম্যানেজারিয়াল পদে
থাকা ব্যক্তিদের বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে। একজন উচ্চ দক্ষ কর্মীর মাসিক বেতন
৬,০০০ রিয়াল থেকে শুরু করে ২০,০০০ রিয়াল বা তার বেশিও হতে পারে। অনেক কোম্পানি
কর্মীদের থাকা-খাওয়া, চিকিৎসা বীমা এবং বিমান টিকিটসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
প্রদান করে, যা বেতনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। ভালো বেতনের
জন্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং ইংরেজিতে যোগাযোগ করার দক্ষতা খুবই
জরুরি।
সৌদি আরবে কোন কাজে বেতন বেশি
সৌদি আরবে যে কাজগুলোতে বেতন সবচেয়ে বেশি, সেগুলোর মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং
প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রগুলো অন্যতম। বিশেষ করে পেট্রোলিয়াম, গ্যাস এবং অবকাঠামো
নির্মাণ খাতে দক্ষ সিভিল, মেকানিক্যাল বা পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা ও
বেতন উভয়ই খুব বেশি। তথ্যপ্রযুক্তি (IT) এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের মতো
বিশেষায়িত প্রযুক্তিগত পেশাগুলোতেও উচ্চ বেতন দেওয়া হয়, কারণ এই ক্ষেত্রে দক্ষ
জনবলের ঘাটতি রয়েছে।
এছাড়াও, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা খাত হলো আরেকটি উচ্চ বেতনের ক্ষেত্র, যেখানে
বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, সার্জন এবং বিশেষ নার্সদের বিশাল চাহিদা এবং সম্মানজনক বেতন
রয়েছে। ফিন্যান্স এবং ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে, যেমন চার্টার্ড
অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ফিন্যান্স ম্যানেজার এবং উচ্চপদস্থ নির্বাহীদের বেতনও খুব
লোভনীয়। উচ্চ বেতনের জন্য সাধারণত উচ্চ শিক্ষা, বিশেষ দক্ষতা এবং বছরের পর বছর
কাজের অভিজ্ঞতা থাকা অপরিহার্য।
সৌদি আরবের কোম্পানির নাম
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন করতে চাইলে এর জন্য সৌদি আরবে বহু আন্তর্জাতিক
এবং স্থানীয় বড় কোম্পানি রয়েছে, যারা নিয়মিত বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দিয়ে
থাকে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো আরামকো (Saudi Aramco), যা বিশ্বের বৃহত্তম তেল
উৎপাদনকারী কোম্পানি এবং এখানে ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি ও প্রশাসনিক পদে প্রচুর
সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও, অবকাঠামো এবং নির্মাণ খাতে সৌদি বিনলাদিন গ্রুপ (Saudi
Binladin Group) এবং এসিএস গ্র্যান্ড (ACC Grand) এর মতো কোম্পানিগুলো বিশাল
সংখ্যক কর্মীকে নিয়োগ দেয়।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে সাবিচ (SABIC), যা
পেট্রোকেমিক্যাল খাতে বিশ্বের অন্যতম প্রধান সংস্থা, এবং টেলিযোগাযোগ খাতে এসটিসি
(stc) ও মোবিলি (Mobily)। এসব বড় কোম্পানি তাদের কর্মীদের জন্য ভালো বেতন,
সুবিধা এবং একটি স্থিতিশীল কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে। কোম্পানি ভিসার জন্য আবেদন
করার আগে এই ধরনের বড় ও সুপরিচিত কোম্পানিগুলোতে চাকরির সুযোগ খোঁজা বুদ্ধিমানের
কাজ।
সৌদি ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
সৌদি আরবে ড্রাইভিং ভিসার বেতন নির্ভর করে আপনি কোম্পানির ড্রাইভার নাকি
ব্যক্তিগত ড্রাইভার হিসেবে কাজ করছেন তার উপর। সাধারণ কোম্পানিতে ভারী বা হালকা
গাড়ি চালানোর জন্য ড্রাইভারদের মাসিক বেতন প্রায় ২,০০০ রিয়াল থেকে ৩,৫০০
রিয়ালের মধ্যে হতে পারে। বিশেষ করে ভারী যানবাহন, যেমন ট্রাক বা তেল ট্যাঙ্কার
চালানোর অভিজ্ঞতা থাকলে বেতন আরও বেশি হতে পারে। এই বেতনের সাথে প্রায়শই
অতিরিক্ত ওভারটাইম করার সুযোগ থাকে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
অন্যদিকে, ব্যক্তিগত বা ফ্যামিলি ড্রাইভারদের বেতন সাধারণত ২,২০০ রিয়াল থেকে
৩,০০০ রিয়াল পর্যন্ত হতে পারে। ব্যক্তিগত ড্রাইভারদের ক্ষেত্রে প্রায়ই
থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা স্পন্সর বা নিয়োগকর্তা বহন করেন, যা বেতনের বাইরে একটি
বাড়তি সুবিধা। ড্রাইভিং ভিসার জন্য আবেদন করার সময় আপনার বৈধ আন্তর্জাতিক
ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং সৌদি লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্যতা নিশ্চিত করা জরুরি। ভালো
বেতন পেতে আপনার গাড়ি চালনার দক্ষতা এবং ট্র্যাফিক নিয়ম সম্পর্কে সঠিক
জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
সৌদি ভিসা চেক
সৌদি ভিসার বর্তমান অবস্থা বা বৈধতা যাচাই করার জন্য বেশ কয়েকটি অফিসিয়াল
পদ্ধতি রয়েছে। ভিসা আবেদনের অবস্থা জানতে আপনি আপনার পাসপোর্ট নম্বর এবং ভিসা
আবেদনের রেফারেন্স নম্বর ব্যবহার করে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (Ministry of
Foreign Affairs - MOFA) ওয়েবসাইটে গিয়ে চেক করতে পারেন। এটি আপনাকে আপনার ভিসা
প্রস্তুত হয়েছে কিনা বা প্রক্রিয়াধীন আছে কিনা তা জানতে সাহায্য করবে।
ভিসা ইস্যু হওয়ার পর এবং সৌদি আরবে প্রবেশের পরে, আপনার ভিসার বৈধতা এবং মেয়াদ
শেষ হওয়ার তারিখ জানতে আপনি আবশের (Absher) প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন।
আবশের হলো সৌদি আরবের একটি সরকারি প্ল্যাটফর্ম যা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পরিষেবা
প্রদান করে। এছাড়াও, আপনার আকামা (রেসিডেন্স পারমিট) এবং কর্মসংস্থান সম্পর্কিত
তথ্য জানতে আপনি শ্রম মন্ত্রণালয়ের (Ministry of Labour and Social Development)
ওয়েবসাইটেও যেতে পারেন।
সৌদি ভিসা
সৌদি আরবে বিভিন্ন ধরনের ভিসা প্রচলিত আছে, তবে কাজের জন্য সবচেয়ে সাধারণ হলো
ওয়ার্ক ভিসা (Work Visa) বা কোম্পানি ভিসা। এই ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই
সৌদি আরবের একটি অনুমোদিত কোম্পানি থেকে চাকরির প্রস্তাব বা স্পন্সরশিপ পেতে হবে।
এই ভিসার মাধ্যমেই আপনি বৈধভাবে সৌদি আরবে কাজ করতে পারবেন এবং আপনার পরিবারের
সদস্যদেরও নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে নিয়ে যেতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন
এছাড়াও, আরও কিছু ভিসা রয়েছে, যেমন ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা যা স্বল্প সময়ের জন্য
পরিবারকে দেখতে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়, এবং হজ ও উমরাহ ভিসা যা শুধুমাত্র
ধর্মীয় ভ্রমণের জন্য দেওয়া হয়। কাজের ভিসার জন্য আবেদন করার সময় আপনাকে সমস্ত
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, যেমন মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
সার্টিফিকেট, প্রস্তুত রাখতে হবে। সঠিক ভিসার জন্য আবেদন করা আপনার কাজের বৈধতা
নিশ্চিত করবে।
সৌদি আরবে যেতে কত টাকা লাগে
সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসায় যেতে মোট খরচের পরিমাণ নির্ভর করে আপনার ভিসার ধরন এবং
কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন তার উপর। সাধারণভাবে, পুরো প্রক্রিয়ার জন্য ভিসা
ফি, মেডিকেল চেক-আপের খরচ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এবং এয়ার টিকেট খরচ
অন্তর্ভুক্ত থাকে। একটি সাধারণ কোম্পানি ভিসায় (লেবার বা সাধারণ দক্ষ কর্মী)
যাওয়ার জন্য মোট খরচ সাধারণত বাংলাদেশি টাকায় ২,০০,০০০ থেকে ৩,০০,০০০ এর মধ্যে
হতে পারে।
এই খরচের মধ্যে রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জও যুক্ত থাকে, যা এজেন্সি ভেদে
ভিন্ন হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ভালো বেতনের বা উচ্চ দক্ষ পদের জন্য,
নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি অনেক সময় ভিসার খরচ ও বিমান টিকেট নিজেরাই বহন করে।
তবে, ফ্রি ভিসার ক্ষেত্রে বা স্পন্সরশিপ পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে খরচ আরও বেশি হতে
পারে। তাই, যাওয়ার আগে একটি নির্ভরযোগ্য এজেন্সি থেকে সমস্ত খরচ সম্পর্কে স্পষ্ট
ধারণা নেওয়া উচিত।
সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম কত
ফ্রি ভিসা শব্দটি সৌদি আরবে আসলে কোনো অফিসিয়াল ভিসার ক্যাটাগরি নয়, এটি মূলত
একটি নিয়োগ সংক্রান্ত অনানুষ্ঠানিক চুক্তিকে বোঝায়। এই ব্যবস্থায়, একজন
স্পন্সর বা কফিল কর্মীকে ভিসা দেয়, কিন্তু কর্মী স্পন্সরের অধীনে কাজ না করে
বাইরে অন্য কোথাও বা অন্য কোনো কোম্পানিতে কাজ করে এবং এর বিনিময়ে স্পন্সরকে
মাসিক বা বাৎসরিক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করে। এই ধরনের ভিসার দাম বা
খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি হয়ে থাকে।
সাধারণত, একটি ফ্রি ভিসার জন্য মোট খরচ ৪,০০,০০০ থেকে ৬,৫০,০০০ (বাংলাদেশি টাকা)
পর্যন্ত হতে পারে। এই খরচ স্পন্সরের উপর নির্ভর করে এবং এর মধ্যে ভিসা ফি,
স্পন্সরশিপের মূল্য এবং অন্যান্য প্রশাসনিক খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। তবে, এটি
একটি অনানুষ্ঠানিক এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবস্থা, তাই এই ধরনের ভিসায় যাওয়ার আগে এর
আইনি জটিলতা এবং ঝুঁকিগুলো ভালোভাবে জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
উপসংহারঃ সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন
আজ আমরা এই পোস্টের মাধ্যেমে জানতে পারলাম যে, সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন
সম্পর্কে। সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসায় কাজ করতে যাওয়া একটি সম্ভাবনাময়
সিদ্ধান্ত, তবে এর জন্য সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা জরুরি। ভিসা আবেদনের মূল
ভিত্তি হলো একটি নিয়োগকর্তার স্পন্সরশিপ এবং বৈধ চাকরির অফার লেটার। বেতনের
পরিমাণ আপনার দক্ষতা, কাজের অভিজ্ঞতা এবং বিশেষায়িত খাতের (যেমন পেট্রোলিয়াম বা
ইঞ্জিনিয়ারিং) উপর নির্ভর করে, যেখানে দক্ষ কর্মীরা উচ্চ বেতন পেয়ে থাকেন।
যাওয়ার আগে ভিসা সংক্রান্ত সমস্ত খরচ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে যাচাই
করা এবং MOFA বা আবশেরের মাধ্যমে ভিসা স্ট্যাটাস চেক করা বুদ্ধিমানের কাজ।
লেখক হিসেবে আমার মতামত হলো, সৌদি আরবের শ্রমবাজারে সুযোগ প্রচুর হলেও, ফ্রি
ভিসা-র মতো অনানুষ্ঠানিক ও ঝুঁকিপূর্ণ পথ পরিহার করা উচিত। একটি সুপরিচিত বড়
কোম্পানির (যেমন আরামকো বা সাবিচ) অধীনে বৈধ কোম্পানি ভিসায় যাওয়া সবচেয়ে
নিরাপদ এবং স্থিতিশীল। এছাড়া, আপনার ভাষাগত দক্ষতা (বিশেষ করে আরবী ও ইংরেজি)
এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান যত বেশি হবে, তত দ্রুত আপনি উচ্চ বেতনের পদের জন্য যোগ্য
হবেন। তাই, বিদেশে গমনের আগে নিজের দক্ষতা বাড়ানো এবং নির্ভরযোগ্য এজেন্সির
মাধ্যমে কাজ করলে আপনার বিদেশ যাত্রা সফল হবে।



সার্ভিস আইটির নিয়ম মেনে কমেন্ট করুন প্রত্যেকটা কমেন্টের রিভিউ করা হয়।
comment url