বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকাবাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়, এমন সেরা ১০টি বাজেট-বান্ধব দেশের তালিকা আজ আমরা আপনাকে এই পোস্টের মাধ্যমে যানাব।
বাংলাদেশ-থেকে-কম-খরচে-কোন-কোন-দেশে-যাওয়া-যায়

জানুন কিভাবে কম খরচে বিমান টিকিট, ভিসা এবং থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন। আপনার পকেটে টান না পড়লেও কীভাবে বিশ্ব ঘুরে আসা যায়, তার সম্পূর্ণ গাইড এই পোস্টে আপনারা দেখতে পাবেন।

পেজ সূচীপত্রঃ বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় 

বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়। বাঙালির ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছাটা বহু পুরোনো, কিন্তু পকেটের চিন্তা প্রায় সময়ই এই ইচ্ছায় লাগাম টেনে ধরে, তাই বিদেশ যাওয়ার স্বপ্নটা কেবল স্বপ্নই থেকে যায়। আমরা অনেকেই চাই দেশের বাইরে ঘুরে আসতে, নতুন সব সংস্কৃতি আর প্রকৃতির সৌন্দর্য কাছ থেকে দেখতে  এই আকর্ষণ আমাদের মধ্যে দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু প্লেনের টিকিট, ভিসা আর থাকার খরচ মিলিয়ে যে হিসাবটা দাঁড়ায়, সেটা মধ্যবিত্তদের জন্য সত্যি একটা বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে। তবে মন খারাপের কোনো কারণ নেই, আপনার জন্যই দারুণ একটা খবর আছে সঠিকভাবে প্ল্যান করলে কম খরচে বিদেশ ভ্রমণ কিন্তু পুরোপুরি সম্ভব। 

এই ব্লগ পোস্টে আমি আপনি জানতে পারবেন কোথায় আপনি সবচেয়ে কম দামে প্লেনের টিকিট খুঁজে পাবেন, আর কীভাবে কোনো এজেন্ট ছাড়াই সেরা অফারটা বুক করা যায়। পাশাপাশি, কম খরচে ভিসা পাওয়ার উপায় আর প্রতিটি দেশের জন্য বাজেট-ফ্রেন্ডলি থাকার ব্যবস্থা নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা করা হবে। এই তালিকাটা বানানোর সময় আমরা প্রতিটি দেশের মোট খরচটা হিসাব করেছি, যেমন লোকাল যাতায়াত বা খাবারের দাম কেমন। তাই এখন আপনার একটাই কাজ ব্যাগ গুছিয়ে ভ্রমণের জন্য তৈরি হওয়া।

বাজেটের মধ্যে ভ্রমণের মহা-রহস্য 

ধরুন, আপনার পকেটে সামান্য কিছু টাকা আছে, আর মনে আছে পৃথিবী ঘোরার দুরন্ত নেশা! ভাবছেন, এই সামান্য পুঁজি নিয়ে বিদেশ যাওয়া তো দূরের কথা, বাড়ির পাশের চায়ের দোকান পার হওয়া দায়?

আরে মশাই, ভুল ভাবছেন! আপনার জন্য এমন কিছু দেশ অপেক্ষা করছে, যেখানে গেলে আপনার মানিব্যাগ মুচকি হাসবে আর মন নেচে উঠবে আনন্দে।

কম খরচে থাইল্যান্ড ভ্রমণ

থাইল্যান্ড সবদিক থেকে কম খরচে ঘুরতে যাওয়ার জন্য একটা আদর্শ জায়গা, যেখানে আধুনিক সুবিধা আর পুরোনো ঐতিহ্য একসঙ্গে পাওয়া যায়। ব্যাংকক আর চিয়াং মাইয়ের মতো শহরগুলো খুবই কম টাকায় থাকার দারুণ সুযোগ দেয় আপনি হোস্টেল কিংবা সাধারণ হোটেলের মধ্যে যেকোনো একটা বেছে নিতে পারেন। এখানকার স্ট্রিট ফুডগুলো মারাত্মক সুস্বাদু আর অবিশ্বাস্য রকম সস্তা, যেমন প্যাড থাই বা মুখরোচক সালাদ মাত্র কয়েক শ টাকায় চেখে দেখা যায়। 

থাইল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর সাংস্কৃতিক আকর্ষণ পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত, প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক এর টানে এখানে ছুটে আসে। আপনি পাতায়া বা ফুকেট-এর সমুদ্র সৈকতে আরাম করে সময় কাটাতে পারেন, যেখানে নীল জল আর সাদা বালির সৈকত আপনাকে শান্তি দেবে। বিশাল আকারের বুদ্ধ মন্দিরগুলো দেখতে গেলে কোনো প্রবেশ ফি লাগে না বললেই চলে, তবে কিছু পুরোনো জায়গায় সামান্য টাকা দিতে হতে পারে। স্থানীয় বাজারগুলো থেকে কম দামে হস্তশিল্প আর পোশাক কেনা সম্ভব,  

কম খরচে মালয়েশিয়া ভ্রমণ গাইড

মালয়েশিয়া হলো আধুনিকতা আর প্রকৃতির এক দারুণ মিলনক্ষেত্র, যেখানে অনেকগুলো সংস্কৃতি একসাথে মিশে গিয়ে একটা নতুন জীবনধারা তৈরি করেছে। কুয়ালালামপুর শহরে থাকার জন্য কম খরচের হোস্টেল আর গেস্ট হাউসের কোনো অভাব নেই, যা ব্যাক প্যাকারদের জন্য একেবারে পারফেক্ট। মালয়েশিয়ান খাবার, বিশেষ করে নাসি লেমাক, খুব সস্তা আর পেট ভরানোর জন্য যথেষ্ট, যা আপনার খাওয়ার খরচ অনেক কমিয়ে দেবে। বাংলাদেশ থেকে প্লেনের টিকিট প্রায় সময়ই ভালো অফারে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ-থেকে-কম-খরচে-কোন-কোন-দেশে-যাওয়া-যায়

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে

পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারের মতো স্থাপত্য দূর থেকে দেখতে কোনো খরচ হয় না, যদিও ওপরে অবজারভেটরি ডেকে যাওয়ার জন্য টিকিট কাটতে হয়। ল্যাংকাউইয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে সামান্যই খরচ হতে পারে, বিশেষ করে কেবল কারে না উঠে হেঁটে ঘুরলে খরচ বাঁচানো যায়। মালয়েশিয়ার সংস্কৃতিতে অনেক বৈচিত্র্য, যা আপনাকে নতুন অভিজ্ঞতা দেবে, কারণ এখানে চীনা, ভারতীয় আর মালয় সংস্কৃতির একটা মেলা দেখা যায়। 

 হিমালয়ের  শান্তিময় দেশ নেপাল ভ্রমণ

নেপাল হলো প্রকৃতির প্রেমিকদের জন্য এক স্বপ্নের গন্তব্য, যা পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পাহাড় মাউন্ট এভারেস্টের ঠিক পাশেই অবস্থিত। এখানে হোটেল আর গেস্ট হাউসের ভাড়া অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম, বিশেষ করে অফ-সিজনে গেলে দারুণ ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। নেপালী খাবার, যেমন মোমো আর ডাল ভাত, খুবই সস্তা আর স্বাস্থ্যকর, যা আপনার লম্বা ভ্রমণের জন্য যথেষ্ট এনার্জি দেবে। প্লেন ভাড়া খুব বেশি নয়, যা নেপালকে আরও বাজেট-ফ্রেন্ডলি করে তোলে।

যারা পাহাড় চড়তে ভালোবাসেন, তাদের জন্য নেপাল সেরা জায়গা, কারণ এখানে এভারেস্ট বেস ক্যাম্প থেকে শুরু করে ছোট ছোট ট্রেইলও আছে। ছোট ছোট গ্রামগুলোতে থাকার ব্যবস্থা পাওয়া যায় খুবই কম খরচে, যেগুলোকে চা হাউজ বলে এবং সেখানে স্থানীয়দের সাথে মেশার সুযোগ হয়। কাঠমান্ডুর ঐতিহাসিক দরবার স্কয়ারের মতো জায়গাগুলো আপনাকে মুগ্ধ করবে, যা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। 

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ ভিয়েতনাম ভ্রমণ

ভিয়েতনাম হলো এমন একটা দেশ যেখানে পুরোনো ইতিহাস আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এক হয়েছে, যা বিশেষ করে দেশটির যুদ্ধের পরের ইতিহাসকে তুলে ধরে। হানোই বা হো চি মিন সিটি-তে থাকার খরচ খুবই কম পাওয়া যায়, যেখানে আপনি হোস্টেল আর গেস্ট হাউসের অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। ভিয়েতনামি স্ট্রিট ফুড, যেমন 'ফো', পৃথিবীর সেরা আর খুব সস্তা, যা এখানকার একটা ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে পরিচিত। মোটরবাইক ট্যাক্সি ব্যবহার করে কম খরচে ঘোরা যায়।

হ্যালং বে-এর মতো জায়গায় ক্রুজ নেওয়াটা একটু খরচসাপেক্ষ হলেও, অন্য জায়গাগুলি কম খরচের; যেমন ডাল্যাট বা সাপা ঘুরে দেখা যেতে পারে। ভিয়েতনামের যুদ্ধ জাদুঘরগুলো দেখতে খুবই সামান্য প্রবেশ ফি লাগে, যা আপনাকে দেশটির কঠিন অতীত সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। ঐতিহ্যবাহী পোশাক 'আও দাই' আর স্থানীয় হস্তশিল্প কম দামে কেনা যায়, যা আপনি আপনার ভ্রমণের স্মৃতি হিসেবে সংগ্রহ করে রাখতে পারেন।

কম খরচে  শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ

শ্রীলঙ্কা তার অসাধারণ সমুদ্র সৈকত আর পুরোনো ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত, আর এই কারণে এটিকে ভারত মহাসাগরের মুক্তা বলা হয়। কলম্বো আর ক্যান্ডিতে খুব সস্তায় থাকার জায়গা খুঁজে পাওয়া যায়, যেখানে নানা ধরনের লজ আর হোস্টেল পর্যটকদের জন্য তৈরি। শ্রীলঙ্কান খাবার, বিশেষ করে কারি আর রাইস, খুবই সুস্বাদু আর দামে কম, যা আপনার খাবারের বাজেট ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। প্লেনের টিকিট মাঝে মাঝে মালয়েশিয়া বা থাইল্যান্ডের চেয়ে কিছুটা কম হতে পারে, তবে ভ্রমণের সিজন অনুযায়ী দাম বাড়ে-কমে। 

সিগিরিয়া রক বা এলিফ্যান্ট অরফানেজ দেখতে একটু খরচ হতে পারে, তবে এর সৌন্দর্য আপনার সেই খরচকে ভুলিয়ে দিতে সাহায্য করবে। তবে সমুদ্র সৈকতে হেঁটে বেড়ানো আর সূর্যোদয় দেখা একদম ফ্রি, যা প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া এক অসাধারণ উপহার। শ্রীলঙ্কার চা বাগানগুলো ঘুরে দেখতে কোনো খরচ লাগে না বললেই চলে, তবে চা কেনা আপনার নিজের পছন্দের ব্যাপার। এখানে বৌদ্ধ মন্দির আর পুরোনো শহরগুলো আপনাকে টানবে।

কম খরচে বাংলাদেশের পার্শবর্তি দেশ ভারত ভ্রমণ

ভারত বাংলাদেশিদের জন্য সবচেয়ে সহজ আর কম খরচের একটা গন্তব্য, কারণ এখানকার সংস্কৃতি আর ভাষা আমাদের কাছে বেশ পরিচিত। কলকাতা, দিল্লী বা মুম্বাই-এ সব ধরনের বাজেট-এর থাকার ব্যবস্থা আছে—খুব সস্তা হোস্টেল থেকে শুরু করে দামি হোটেল পর্যন্ত সবকিছু পাওয়া যায়। ভারতের প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব খাবার আছে, যা অবিশ্বাস্যভাবে সস্তা, যেমন উত্তর ভারতের রুটি-সবজি আর দক্ষিণ ভারতের ইডলি-দোসা। বাস বা ট্রেন হলো দেশের ভেতরে ঘোরার জন্য সবচেয়ে কম খরচের।

আরো পড়ুনঃ ছেলেদের চুলের জন্য কোন তেল সবচেয়ে ভালো

আগ্রার তাজমহল দেখতে খরচ হলেও অন্যান্য পুরোনো স্থানগুলি সস্তা, যেমন লাল কেল্লা বা কুতুব মিনার-এর মতো জায়গাগুলো কম প্রবেশ মূল্যে দেখা যায়। উত্তর ভারত আর দক্ষিণ ভারতের সংস্কৃতি ও প্রকৃতির ভিন্নতা দেখা এক দারুণ অভিজ্ঞতা, যা আপনাকে একই দেশের মধ্যে ভিন্ন ভ্রমণের অনুভূতি দেবে। ভিসা প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে সহজ আর কম সময়ের মধ্যে পাওয়া যায়, যা বাংলাদেশিদের জন্য সহজে যাওয়ার সুবিধার জন্য ভারত বাজেট-ফ্রেন্ডলি, যা কম খরচে বিদেশ ভ্রমণের একটা দারুণ সুযোগ তৈরি করে।

দ্বীপের দেশ ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ

ইন্দোনেশিয়া, বিশেষ করে বালি, শুধু ধনীদের জন্য নয়, বরং সব বাজেটের পর্যটকদের জন্য একটা দারুণ জায়গা। বালির বাইরে জাকার্তাতে  থাকার খরচ খুবই কম, যেখানে আপনি কম দামের হোস্টেল আর হোটেল খুঁজে পাবেন। ইন্দোনেশিয়ান স্ট্রিট ফুড, যেমন সাটে, আপনার খরচ বাঁচাবে এটা এখানকার জনপ্রিয় খাবার যা খুবই কম দামে পাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে কানেক্টিং ফ্লাইট প্রায় সময়ই ভালো দামে পাওয়া যায়, তবে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের অফারগুলোর দিকে নজর রাখতে হবে। 

বালি বাদে অন্য দ্বীপগুলোতে এখনও পর্যটকদের ভিড় কম থাকে, যেমন লোম্বক বা জাভা, যা আরও শান্ত আর প্রকৃতির কাছাকাছি। বালি-তে কম খরচে স্কুটার ভাড়া করে নিজে নিজে ঘুরে বেড়ানো যায়, যা আপনাকে স্বাধীনতা দেবে আর যাতায়াত খরচ কমাবে। 

 প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি কম্বোডিয়া ভ্রমণ

কম্বোডিয়া হলো যারা ইতিহাস আর পুরোনো স্থাপত্য ভালোবাসেন তাদের জন্য আদর্শ, কারণ এখানে আংকর ওয়াটের মতো বিশ্বখ্যাত নিদর্শন আছে। সিয়ম রিয়াপ আর নম পেনে খুব সস্তায় হোস্টেল আর গেস্ট হাউসের ব্যবস্থা আছে, যা ব্যাকপ্যাকারদের জন্য একটা দারুণ অপশন। প্লেনের টিকিট খুঁজে বের করাটা একটু কঠিন হলেও ভালো অফার পাওয়া যায়, স্থানীয় পরিবহন, যেমন টুক-টুক, ব্যবহার করলে খরচ কমে যায়, যা এখানকার শহরের মধ্যে ঘোরার একটা জনপ্রিয় মাধ্যম।

বাংলাদেশ-থেকে-কম-খরচে-কোন-কোন-দেশে-যাওয়া-যায়

আংকর ওয়াট দেখার জন্য টিকিট কাটতে হয়, তবে সেটা সারাদিনের জন্য যথেষ্ট আর এই পুরোনো স্থানটির বিশালতা আপনাকে মুগ্ধ করবে। অন্যান্য ছোট মন্দিরগুলি ঘুরে দেখা যায় সামান্য কিছু খরচের বিনিময়ে, যা আপনাকে কম্বোডিয়ার ইতিহাস ও স্থাপত্য সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। 

কম টাকায় লাওস ভ্রমণ

লাওস হলো প্রকৃতির কাছাকাছি শান্তিতে সময় কাটানোর একটা আদর্শ স্থান, যা অন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর চেয়ে বেশ শান্ত। ভিয়েনতিয়েন আর লুয়াং প্রাবাং-এ থাকার খরচ খুব কম, যেখানে আপনি ঐতিহ্যবাহী গেস্ট হাউসে থাকতে পারবেন। লাও খাবারের দাম খুবই কম আর আপনি সহজেই স্থানীয় বাজারে খেতে পারবেন, যা আপনার খাবারের বাজেট নিয়ন্ত্রণে রাখবে। লাওসে সরাসরি ফ্লাইট নেই, তবে থাইল্যান্ড হয়ে যাওয়াটা সস্তা হতে পারে, কারণ থাইল্যান্ডের সাথে এর সীমান্ত যুক্ত। 

মেকং নদীর শান্ত পরিবেশ উপভোগ করা এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা, যা নদীর পাড়ে বসে বা নৌকায় চড়ে উপভোগ করা যায়। বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দির আর ছোট ছোট জলপ্রপাত দেখতে সামান্যই খরচ হয়, যা আপনাকে প্রকৃতির সাথে একাত্ম হতে সাহায্য করবে। স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রা খুব সাদামাটা, যা আপনাকে মুগ্ধ করবে।

ফিলিপাইন  ৭ হাজার এর বেশি দ্বীপের দেশ ভ্রমণ

ফিলিপাইন হলো যারা সমুদ্র আর অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন তাদের জন্য স্বর্গ, কারণ এখানে ৭,০০০ এরও বেশি দ্বীপ আছে। ম্যানিলা বা সেবু-তে কম দামে থাকার ভালো ব্যবস্থা পাওয়া যায়, যেখানে হোস্টেল আর গেস্ট হাউসের অনেক অপশন রয়েছে। ফিলিপিনো খাবার, যেমন 'অ্যাডোবো', খুবই সস্তা আর সহজে পাওয়া যায়, যা আপনার খাবারের বাজেট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। পালাওয়ান বা বোহোলের মতো দ্বীপে ঘোরার খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ ২২কেরেট গোল্ড প্রাইস টুডে ইন বাংলাদেশ

 তবে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সেই খরচকে যৌক্তিকতা দেয়। তবে সমুদ্র সৈকতে আরাম করা বা স্নরকেলিং করা খুব বেশি খরচসাপেক্ষ নয়, যা জলপ্রেমীদের জন্য একটা দারুণ সুযোগ। স্থানীয় বাজারে সস্তায় বিভিন্ন হস্তশিল্প আর ফল কেনা সম্ভব, যা আপনার ভ্রমণের স্মৃতি হিসেবে সংগ্রহ করে রাখতে পারেন। ফিলিপাইনের মানুষজন খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ, যা আপনার ভ্রমণকে আরও আনন্দময় করবে আর তারা সাধারণত ইংরেজিতে কথা বলে।

উপসংহারঃ বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

আপনার স্বপ্নের বিদেশ ভ্রমণের পথে এখন আর বাজেট কোনো বাধা নয়, সঠিক প্ল্যান আর সামান্য খোঁজখবর নিলেই এটা সম্ভব। এই দশটা দেশ প্রমাণ করে যে কম খরচেও দেশের বাইরে ঘোরা যায়, যেখানে আপনি নতুন সংস্কৃতি আর প্রকৃতির স্বাদ নিতে পারবেন। আপনাকে শুধু একটু সময় নিয়ে ভালো ডিল খুঁজে বের করতে হবে।

মনে রাখবেন, ভ্রমণের আসল উদ্দেশ্য হলো নতুন কিছু দেখা আর শেখা, যা আপনার জীবনকে নতুন অর্থ দেবে আর জ্ঞান বাড়াবে। আপনার বাজেট যেমনই হোক না কেন, ভ্রমণের আনন্দ সবসময় অমূল্য, কারণ এই অভিজ্ঞতাগুলো আপনার জীবনের সম্পদ হয়ে থাকবে। তাই আর দেরি না করে আপনার পছন্দের গন্তব্যটা বেছে নিন। আশা করি উপরের পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন,বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সার্ভিস আইটির নিয়ম মেনে কমেন্ট করুন প্রত্যেকটা কমেন্টের রিভিউ করা হয়।

comment url

Md. Sanjid Ali
Md. Sanjid Ali
একজন ব্লগার/কন্টেন্ট লেখক। আধুনিক জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও জ্ঞান নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি। এখানে আপনি অনলাইন ইনকামের নানা কৌশল, স্বাস্থ্য,চিকিৎসা, রুপচর্চা বর্তমান লাইফস্টাইল সম্পর্কিত টিপস, এবং প্রযুক্তি ও ব্লগিং-এর অজানা দিকগুলো জানতে পারবেন।