১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয় - বাচ্চার জ্বর হলে করণীয়
শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকারআজ আমরা আপনাকে ছোট-বড় সকলের ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয় কী, সেই নির্দেশিকা
সম্পর্কে জানিয়ে দেব। ১০২° থেকে ১০৫° জ্বর কমানোর কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি, এবং
সঠিক ওষুধের ব্যবহার সম্পর্কে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে, তা এখানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
পানিশূন্যতা রোধ এবং দ্রুত আরোগ্যের জন্য সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ টিপস জানতে সম্পূর্ণ
পোস্টটি পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয়
১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয়
ছোট বড় সকলেরই ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয় হলো, আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত জ্বর
কমানোর ব্যবস্থা নিতে নেওয়া। প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের ক্ষেত্রে, কুসুম গরম
পানিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে বারবার যা মুছে দেওয়া বা স্পন্ডিং করা
তাপমাত্রা কমাতে কার্যকর। ঝড় কমানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক
ডোজে প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ সেবন করা উচিত। জ্বর কমানোর
পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা খুব জরুরী, যেমন পানি, ফলের রস বা
স্যুপ, জাপানি শূন্যতা রোধ করে। রোগী যেন পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে পারে এবং
হালকা আরামদায়ক পোশাক পড়ে শীতল পরিবেশে থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
যদি ওষুধ গা মোছানোর পরেও জ্বর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে না কমে বা ১০৩ ডিগ্রি উপরে স্থির
থাকে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে,যদি তীব্র
মাথাব্যথা বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের মতো দ্রুত লক্ষণ দেখা দেয়, তবে জরুরী
ভিত্তিতে হাসপাতালে যান। শিশুদের ক্ষেত্রে, দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন
হয়। জ্বরের মূল কারণ নির্ণয় এবং সঠিক চিকিৎসা শুরু করার জন্য চিকিৎসকের কাছে
যাওয়া এই সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন, ১০৩ ডিগ্রি জ্বরকে গুরুত্বের
সাথে নিতে হবে এবং সঠিক পর্যবেক্ষণ রেখে চিকিৎসকের নির্দেশনা নিয়ে চলতে হবে।
শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয়
শিশুর জ্বর যখন ১০২° ফারেনহাইট হয়, তখন দ্রুত তার পোশাক হালকা করে দিন পরিবেশে
রাখুন। জ্বর মাপার জন্য একটি সঠিক থার্মোমিটার ব্যবহার করুন এবং ঘন ঘন
তাপমাত্রা পরীক্ষা করা জরুরী। শরীরে তাপমাত্রা কমাতে ভেজা নরম কাপড় বা স্পন্স
দিয়ে বারবার যা মুছে দেওয়া খুব কার্যকর। বিশেষ করে বগল, কপাল এবং কুচকির
মত জায়গা গুলো মুছলে তাপমাত্রা দ্রুত কমবে। এই সময় শিশুকে প্রচুর পরিমাণে তরল
খাবার যেমন মায়ের বুকের দুধ ওর স্যালাইন বা ডাবের পানি খেতে উৎসাহিত করতে
হবে।
আরো পড়ুনঃ দাতের ব্যথায় করনীয়
জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক
ব্রজে দেওয়া যেতে পারে। শিশুকে জোর করে খাওয়ার চেষ্টা না করে সহজভাবে এবং হালকা
খাবার যেমন জওহাত অল্প অল্প করে খেতে দিন। দ্রুত সুস্থতার জন্য শিশুকে পর্যাপ্ত
বিশ্রাম দিতে হবে এবং খেলার পরিবর্তে বেশি করে ঘুমাতে দিন। যদি জ্বর ২৪ ঘন্টার
মধ্যে না কমে বা অন্যান্য গুরুতর লক্ষণ দেখা যায়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ
নিন। মনে রাখবেন, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া শিশুকে অপ্রয়োজনীয় ঔষধ দেওয়া থেকে
সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে।
বাচ্চার জ্বর হলে করণীয়
বাচ্চার জ্বর হলে প্রথমেই শিশুকে আরামদায়ক এবং শীতল পরিবেশে রাখুন, অতিরিক্ত
গরম কাপড় পরানো যাবে না। শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য উষ্ণ পানিতে ভেজানো নরম
তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে গ্রামে মুছিয়ে দিন। জ্বর কমানোর জন্য ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মাত্রায় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সঠিক সময় দিন।
শিশুকে বারবার পানি স্যুপ বা ওর স্যালাইন দিতে হবে যাতে পানি শূন্যতা না হয়।
জ্বর ১০২ ডিগ্রীর বেশি হলে, দুই বছরের কম বয়স হলে, বা গুরুতর উপসর্গ থাকবে
চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
জোর চলাকালীন শিশুর আচরণ এবং কার্যালয়ের উপর নিবিড় নজর রাখা প্রয়োজন, সে
নিস্তেজ হয়ে পড়ছে কিনা লক্ষ করুন। শিশুকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে হবে এবং জোর
করে খাবার না দিয়ে সহজ করে পুষ্টিকর তরল খাবার দিন। যদি বাচ্চার জ্বর ৪৮
ঘন্টার বেশি স্থায়ী হয় অথবা বারবার জ্বর ফিরে আসে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ
নিন। ওষুধের ব্যবহার সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে বা শিশুর জন্য কোন সমস্যা থাকলে
নিজে কোন ওষুধ খাওয়াবেন না। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ এবং আপনার যত্নের মাধ্যমে
আপনার শিশু দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।
বাচ্চাদের দ্রুত জ্বর কমানোর উপায়
বাচ্চাদের জ্বর দ্রুত কমানোর একটি নিরাপদ উপায় হল স্পঞ্জিং পদ্ধতি ব্যবহার
করা, যা খুব কার্যকর। হালকা গরম পানিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে শিশুর পুরো শরীর
বিশেষ করে বগল ওষুধ কি আলতো করে মুছে দিন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক
প্যারাসিটামল বা অন্যান্য জাতীয় ওষুধ নির্দিষ্ট সময় অন্তর দিন। শিশুকে হালকা
পয়সার করানো উচিত এবং ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখা দরকার, অতিরিক্ত কম্বল
পরিহার করুন। নিশ্চিত করতে শিশুকে নিয়মিত বিরতিতে, পানি ফলের রস বা মায়ের দুধ
পান করানো।
দ্রুত জ্বর কমাতে শিশুকে গোসল করানো যেতে পারে, তবে অবশ্যই কুসুম গরম পানি
ব্যবহার করতে হবে। ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলে শিশু শরীর কাঁপতে শুরু করতে পারে
এবং জোর আরো বেড়ে যেতে পারে। জ্বর কমাতে শিশুকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি
বিশ্রাম নিতে উৎসাহিত করুন এবং শান্ত পরিবেশে রাখুন। যদি দ্রুতগড় নামানোর
পরেও শিশুর তাপমাত্রা আবার দ্রুত বেড়ে যায় বা খিচুনি হয়, অবিলম্বে হাসপাতালে
জানে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে পাশাপাশি চিকিৎসকের দেওয়া নির্দেশিকা অনুসরণ করলে
দ্রুত এবং নিরাপদে জ্বর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
শিশুর জ্বর না কমলে করণীয়
শিশুর জ্বর যদি সঠিক অসুতো স্পঞ্জিং করার পরেও 24 থেকে 48 ঘন্টার মধ্যেও
নিয়ন্ত্রণে না আসে, তবে জরুরিভাবে শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন। জ্বর না
কমানোর অর্থ হতে পারে নিজে সংক্রমণ বা অসুস্থতা আরো গুরুত্ব, যার জন্য
সঠিক রোগ নির্ণয় প্রয়োজন। চিকিৎসককে আপনার শিশুর অন্যান্য উপসর্গ যেমন
কাশি, বমি বা ডাইরিয়া আছে কিনা তা বিস্তারিতভাবে জানান। এই পরিস্থিতিতে
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অন্য কোন নতুন বা অতিরিক্ত ওষুধ হিসেবে দেওয়া উচিত
নয়, এতে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। জ্বর না কমা পর্যন্ত স্পঞ্জিং চালিয়ে
যাওয়া এবং শিশুর প্রচুর পরিমাণে তরল ও বিশ্রাম দেয়া অপরিহার্য।
আরো পড়ুনঃ বুক জ্বালাপোড়া কমানোর উপায়
শিশুর জ্বর ১০২ বা ১০৩ ডিগ্রির উপরে থাকে এবং কোন ভাবে না কমে, তবে এটিকে
জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচনা করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জ্বরের কারণ
নিশ্চিত করতে রক্ত পরীক্ষা বা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানো লাগতে পারে। চিকিৎসকের
পরামর্শ অনুযায়ী জ্বরের ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক সঠিক সময় অন্তর
অন্তর শিশুকে খাওয়ান। জ্বর না কমলে ধৈর্য ধরে চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে চলুন এবং
শিশুকে মানসিক সমর্থ দিন। যেকোনো জরুরী অবস্থায় সরাসরি শিশুর বিশেষজ্ঞের
চেম্বারে বা নিকটস্থ শিশুর জরুরী বিভাগে যোগাযোগ করুন।
বাচ্চার জ্বর কমানোর উপায়
বাচ্চার জ্বর কমানোর সবচেয়ে প্রাথমিক উপায় হল ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী
সঠিক পরিমাণে প্যারাসিটামল সেবন করানো। জ্বর কমাতে শরীরকে শীতল করার জন্য
হালকা গরম পানিতে ভেজানো কাপড় দিয়ে স্পঞ্জিং করা খুব কার্যকর একটি পদ্ধতিতে।
শিশুকে হালকা কাপড় পরিয়ে ঘরে তাপমাত্রা আরামদায়ক রাখুন, অতিরিক্ত গরম কাপড়
ব্যবহার করবেন না। পানি শূন্যতা এড়াতে এবং শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া সচল
রাখতে শিশুকে ঘন ঘন পানি বা ওর স্যালাইন দিন। শিশুকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম
দিতে হবে এবং জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা না করে সহজ খাবার পরিবেশন
করুন।
এছাড়াও, জ্বর কমানোর জন্য শিশু কপালে ঠান্ডা পানিতে ভেজানো পট্টি দেওয়া যেতে
পারে, যা আরাম দেবে। যদি শিশুর জ্বর ১০২° বা তার বেশি হয় এবং ৪৮ ঘন্টার মধ্যে
না কমে, তবে ডাক্তারের কাছে যাওয়া আবশ্যক। জ্বরের ঔষধ দেওয়ার সময় অবশ্যই তার
বয়স ওজনের উপর ভিত্তি করে সঠিক ডোজ নিশ্চিত করতে হবে। ভুল ডোজ শিশুর জন্য
ক্ষতিকর হতে পারে, তাই ডোজ সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
আপনার নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং সঠিক চিকিৎসা জ্বর নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য
করবে।
শিশুর ১০৫ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয়
শিশুর জ্বর যখন ১০৫ ডিগ্রি এবং ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয়, তখন এটিকে
জরুরি অবস্থা হিসেবে গণ্য করে অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়ে যান। এই উচ্চ তাপমাত্রা
দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে শিশুর মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। দ্রুত
তাপমাত্রা কমানোর জন্য ডাক্তারের নির্দেশনা মেনে ওষুধ দিন এবং জরুরিভাবে
স্পঞ্জিং শুরু করুন। কুসুম গরম পানি ব্যবহার করে শিশু পুরুষ শরীর, বিশেষ করে
বগল ও পুঁটকি বারবার আলতো করে মুছে দিন। এই উচ্চ তাপমাত্রাযর সময় শিশুকে হালকা
প্রসব করে শীতল পরিবেশে রাখা উচিত।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়
হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে এবং পরে শিশুকে প্রচুর পরিমাণে তরল পদার্থ
যেমন ওরসলাইন বা পানি পান করান। পুত্র ঘরের কারণে শরীর থেকে দ্রুত পানি
বেরিয়ে যায়, তাই পানি শূন্যতা রোধ করা জরুরী। যদি শিশুর খিচুনি বা অন্য কোন
গুরুতর শারীরিক সমস্যা দেখায়, তবে তাকে একদিকে কাজ করে শুয়ে দিন। দ্রুত
চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করুন এবং বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা
শুরু করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুকে অন্য কোন ঔষধ বা অতিরিক্ত
প্যারাসিটামল দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
২ বছরের শিশুর জ্বর হলে করণীয়
দুই বছর বয়সী শিশুর জ্বর হলে তার তাপমাত্রা সঠিকভাবে মেপে দেখতে হবে এবং ১০২
ডিগ্রীর বেশি হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। জল কমানোর জন্য শিশু বিশেষজ্ঞের
পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক বুঝে প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ দিন।
শিশুর শরীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে পোশাক পড়াতে এবং ঘরের পরিবেশ শান্ত ও
আরামদায়ক এখন। এই বয়সি শিশুদের জন্য পানি শূন্যতা বিপদজনক, তাই তাদের ঘন ঘন
পানি, ওর স্যালাইন বা মায়ের দুধ পান করান। জ্বর কমানোর একটি কার্যকর পদ্ধতি
হলো গরম পানিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে শিশুর গা মুছে দেওয়া।
যদি জ্বর 48 ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়, অথবা জ্বরের পাশাপাশি শিশুর বমি,
শ্বাসকষ্টের মত লক্ষণ দেখা যায়, তাই তাদের আচরণ ও কার্যালয়ের উপর নিবিড় নজর
রাখুন। জ্বর চলাকালীন শিশুকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা না করে তার পছন্দমত সহজ
খাবার অল্প পরিমাণে দিন। তাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে দিন এবং শান্ত পরিবেশে
রাখুন, কারণ বিশ্রাম দ্রুত আরোগ্য সাহায্য করে। যে কোন জটিলতায় এড়াতে
চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
জ্বর কমানোর সবচেয়ে কার্যকর ঘরোয়া উপায় হল স্পঞ্জিং, যেখানে কুসুম গরম
পানিতে তারপর ভিজিয়ে গা মোছা হয়। এই পদ্ধতিতে শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা
সাহায্য করে, বিশেষ করে বল কপাল এবং খুশকির অংশগুলো মুছুন। শিশুর শরীরকে শীতল
করার জন্য হালকা হালকা সুতির পোশাক পরানো উচিত এবং ঘরের তাপমাত্রা আরামদায়ক
রাখুন। পানি শুনাতে রাতে শিশুকে ঘন ঘন সামান্য পরিমাণে পানি, ডাবের পানি, বা ওর
স্যালাইন পান করাতে হবে। চর চলাকালীন শিশু যেন পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে পারে
সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
পুষ্টিকর স্যুপ, জাউ ভাত সবজির হালকা ঝোলের মত সহজপাচ্য খাবার অল্প শিশুকে খেতে
দিন। তুলসী পানি বা আদার রস হালকা গরম করে পান করানো যেতে পারে, যার প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়াতে পারে। তবে এগুলো যেন ডাক্তারেরা চিকিৎসকের পরিপূরক হয়, বিকল্প
হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। সঠিক যত্ন, পর্যাপ্ত তরল ও বিশ্রাম এই তিনটি
বিষয়ে জ্বর কমানোর জন্য খুবই উপকারী।
উপসহংহারঃ ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয়
আজ আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয়
সম্পর্কে। শিশুর উচ্চ, জ্বর যা ১০২ থেকে ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে, তা
মোকাবেলা করার জন্য করনীয় বিষয়গুলো এই আলোচনায় তুলে ধরা হয়েছে। জ্বর কমানোর
নিরাপদ ঘরোয়া উপায় যেমন হালকা গরম পানি দিয়ে স্পঞ্জিং এবং প্রচুর তর ল পান
করাতে হবে। এছাড়াও জ্বর নিয়ন্ত্রণের জন্য চিকিৎসকের নির্দেশিত প্যারাসিটামল
সঠিক মাত্রায় ব্যবহারের অপরিহার্য। জরুরি পরিস্থিতি গুলো যেমন দীর্ঘস্থায়ী জ্বর
বা ১০৫ ডিগ্রি জ্বর হলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক হিসেবে আমার ব্যক্তিগত মতামত হল ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে শিশুর জ্বর মোকাবিলায়
বাবা-মায়ের সচেতনতা ও সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য। তাপমাত্রা বা গুরুতর
উপসর্গ দেখা দিলে ঘরোয়া পদ্ধতির উপর পুরোপুরি নির্ভর না করে দ্রুত চিকিৎসকের
সাহায্যে না আবশ্যক। এইসব শিশুকে আরাম দেওয়া, পানি শূন্যতা রোধ করা এবং সঠিক
সময়ে সঠিক ওষুধ দেওয়াটাই হলো সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। মনে রাখবেন, সময় মত সঠিক
সিদ্ধান্ত নেয়ই আপনার শিশু দ্রুত আরোগ্য নিশ্চিত করতে পারে।



সার্ভিস আইটির নিয়ম মেনে কমেন্ট করুন প্রত্যেকটা কমেন্টের রিভিউ করা হয়।
comment url