মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসাআজ আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দিব, শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও
প্রতিকার সম্পর্কে। কারণ নিউমোনিয়া এই মারাত্মক রোগের আসল লক্ষণ, যা উপেক্ষা
করলে আপনার বিপদ বাড়তে পারে।
আরো জানতে পারবেন, শিশুদের চিকিৎসা থেকে শুরু করে বড়দের প্রতিকার দ্রুত
শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও কাশির মোকাবিলা করবেন কীভাবে? বিশেষজ্ঞের পরামর্শ এবং এর কারণ
ও নিরাময়ের সব গোপন তথ্য জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার করতে হলে জানতে হবে, শিশুর নিউমোনিয়ার প্রধান লক্ষণ গুলো সম্পর্কে। যার মধ্যে রয়েছে দ্রুত শ্বাস নেওয়া বা
শ্বাসকষ্ট হওয়া, যেখানে মনে হতে পারে শিশুটি হাঁপাচ্ছে বাসার নিতে কষ্ট পাচ্ছে।
জ্বর আসা এবং কাশির সঙ্গে কফ বের হওয়াও একটি সাধারণ লক্ষণ, যেখানে শিশুটি অনবরত
কাশতে থাকে এবং অস্বস্তি বোধ করে। অনেক সময় শিশু খেতে বা পান করতে চায় না, যার
ফলে সে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। যদি দেখেন
যে শিশুটির ঠোঁট বা নখ নিলচে হয়ে যাচ্ছে, তবে সেটা গুরুতর অবস্থার ইঙ্গিত দেয়
এবং তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দরকার। এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে দেরি না
করে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শিশুর নিউমোনিয়ার প্রতিকারের জন্য সংক্রমণের কারণ বুঝে ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিক
বা এন্টিভাইরাস ওষুধ দেন, যা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিয়ম করে খাওয়াতে হয়।
অসুস্থতার সময় শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম দেওয়া খুবই জরুরী, কারণ এতে তার
শরীর দ্রুত রোগ প্রতিরোধে শক্তি ফিরে পায়। পানি শূন্যতা এড়াতে বারে বারে অল্প
পরিমাণে তরল খাবার, যেমন বুকের দুধ, ফলের রস বা গরম স্যুপ খাওয়ানো
উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জ্বর বা ব্যথা কমানোর জন্য ওষুধ ব্যবহার
করা যেতে পারে, তবে নিজে থেকে কোন কাশির ওষুধ দেওয়া উচিত নয়। শিশু দ্রুত
আরোগ্যের জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে তার যত্ন নেওয়া এবং নিয়মিত ডাক্তারের
ফলোআপে থাকাটা অত্যন্ত প্রয়োজন।
নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
নিউমোনিয়ার রোগের প্রধান লক্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছে তীব্রজর এবং কাঁপুনি সহ
ঠান্ডা লাগা, যে প্রথম দিকে ফ্লু এর মত মনে হতে পারে। এছাড়া ওর শ্বাস নিতে কষ্ট
হওয়া, দ্রুত শ্বাস নেওয়া এবং বুকে ব্যথা অনুভব করা অন্যতম সাধারণ উপসর্গ, বিশেষ
করে যখন গভীর শ্বাস নেওয়া হয় বা কাশি দেওয়া হয়। কফ সহ কাশি হতে পারে, এবং এই
পথ হলুদ, সবুজ অথবা কখনো কখনো হতে পারে, যা ফুসফুসে সংক্রমণের ইঙ্গিত দেয়।
দুর্বলতা, ক্লান্তি এবং শারীরিক অবসাদ অনুভব করাও এই রোগের একটি বড় লক্ষণ, যা
দৈনন্দিন কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে।
দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য নিরীক্ষনগুলি দেখা গেলে দেরি না করে চিকিৎসকাল
পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য। নিউমোনিয়ার প্রতিকার হিসেবে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে
অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দেন, যা নিয়ম মেনে সেবন করতে হবে।
পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত রোগীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া খুব দরকার, কারণ
বিশ্রাম নিলে শরীর রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ফিরে পায়।
শরীরকে পানি শূন্যতা থেকে বাঁচাতে প্রচুর পরিমাণে পানি ,ফলের রস, ডাবের পানি বা
গরম চোখের মত তরল খাবার খাওয়া উচিত। ধূমপান এবং মদ্যপান এই সময় একেবারেই করা
উচিত নয়, গতি বাড়িয়ে দেয় এবং সুস্থ হতে দেরি করায়, আর ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া
ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা উচিত নয়।
শিশুর নিউমোনিয়ার চিকিৎসা
শিশুরনিমনিয়া চিকিৎসার জন্য ডাক্তার সাধারণ উপসংস্করণের কারণ বুঝে এন্টিবায়োটিক
বা অ্যান্টিভাইরাস ওষুধ দেন এবং এটি নিয়মিত খাওয়ানো দরকার। যদি শিশুর জ্বর বা
ব্যথা থাকে, তবে চিকিৎসকের নির্দেশিত সঠিক মাত্রায় প্যারাসিটামল জাতীয়
ওষুধ দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু নিজে থেকে কোন ওষুধ দেওয়া উচিত নয়। যদি বাচ্চার
শ্বাসকষ্ট খুব বেড়ে যায় বা সে খুব দ্রুত শ্বাস নেয়, তবে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে
যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে, যেখানে তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়।
এই অসুস্থতার শিশুকে নরম, পুষ্টিকর এবং সহজে হজম হয় এমন খাবার দিতে হবে, যাতে
তার শরীরের শক্তি বজায় থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে। ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসার কোর্স সম্পূর্ণ করা এবং নির্দিষ্ট বিরতিতে ডাক্তারকে
দেখানো খুব জরুরী, এমনকি শিশুর সুস্থ লাগলেও।শিশুর নিউমোনিয়া হলে চিকিৎসার
পাশাপাশি নড়ে তার বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত, তাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে সাহায্য
করবে। যে ঘরে শিশু থাকে সেই ভারতে পরিষ্কার ধর্ম এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল যুক্ত
রাখা দরকার, যাতে তার শ্বাস নিতে আনা হয়।
শরীরে পানীয় ভারসাম্য বজায় রাখতে অল্প অল্প করে বারে বারে বুকের দুধ অন্যান্য
তরল খাবার শেষে দেওয়া উচিত, যাতে তার শরীরে পানির অভাব না হয়। যদি শিশু
অসুস্থতার জন্য খেতে না চায় বা বমি করে, তবে তাকে জোর করে খাওয়ানো ঠিক নয়, বরং
ডাক্তারকে এই বিষয়ে জানাতে হবে। শিশুর শরীরের তাপমাত্রা এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের
গতি বৃদ্ধিতে সতর্ক নজর রাখা দরকার, এবং কোন অস্বাভাবিকতা দেখলে দ্রুত চিকিৎসার
কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত।
বাচ্চাদের নিউমোনিয়া কেন হয়
বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হওয়ার প্রধান অন্যতম কারণ হলো ভাইরাস জনিত সংক্রমণ, যেমন
রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, যা ছোট বাচ্চাদের
মধ্যে খুব সহজে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও, স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনিয়া বা
হিমোলিফাস্ট ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ব্যাকটেরিয়াও নিউমোনিয়া ঘটাতে পারে, যাওনা
সম্মান ভাইরাসের সংক্রমণের পরে আক্রমণ করে।, যেসব শিশুর জন্ম অকালে হয় বা যাদের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে বিশেষ করে ছয় মাসের কম বয়সী শিশুরা, তারা এই
ধরনের সংক্রমণের শিকার সহজেই হয়।
অপুষ্টিতে ভোগা শিশুরা এবং যারা নোংরা ও ধোয়াযুক্ত পরিবেশে থাকে, তাদের
নিউমোনিয়া হওয়ার হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি হয়। সময় মতো
নিউমোনিয়া টিকা না নেওয়ায় এই রোগের একটি বড় কারণ, যা টিকা দিয়ে প্রতিরোধ করা
সম্ভব। নিউমোনিয়া শিশু থেকে অন্য শিশুর মধ্যে হাসি বাতাসের মাধ্যমে বাতাসের
সাহায্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে, যাকে আমরা ছোয়াচে রোগ বলি।
দূষিত বাতাস এবং ঘরে কেউ ধূমপান করলে সেই ধুমা শিশুদের ফুসফুসকে সংবেদনশীল করে
তুলে, ফলে তারা দ্রুত জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। সাধারণত শীতকালে বা যখন
আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়, তখন সর্দি কাশির মতো শ্বাস যন্ত্রের অন্যান্য রোগ বাড়ে
এবং সেই সময়ে নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। ঘনবস্তুতিপূর্ণ জায়গায়
থাকার কারণেও জীবাণুর সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, ফলে বাচ্চাদের মধ্যে বেড়ে
যায়।
নিউমোনিয়া রোগের প্রতিকার
শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার এর জন্য প্রথমেই সঠিক সময়ে রোগটিকে চিহ্নিত করা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ
মেনে অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিভাইরাস ওষুধ খাওয়া শুরু করা উচিত। এই
সময়টায় শরীরের জন্য পুরোপুরি বিশ্রাম নেওয়া খুব জরুরী, কারণ এতে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শরীর তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার শক্তি পায়। শরীর
যাতে পানি শূন্যতা না হয় তার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি, ফলের রস,
স্যুপ এবং অন্যান্য তরল খাবার খাওয়া দরকার। জ্বর বা শরীরের ব্যথা
কমানোর জন্য ডাক্তার যদি কোন ওষুধ দেন, তাহলে অবশ্যই তার নির্দেশ মেনে
নির্দিষ্ট পরিমাণে সেই ওষুধ সেবন করতে হবে।
কষ্ট বা কব বের করার সুবিধার জন্য ডাক্তার ইনহেলার বা নেবুলাইজার
ব্যবহার করার পরামর্শ দিতে পারে না।
>নিউমোনিয়া পুরোপুরি সেরে না যাওয়া পর্যন্ত ধূমপান থেকে সম্পূর্ণ দূরে
থাকতে হবে এবং যেখানে ধূমপান করা হয়, সেই পরিবেশেও এড়িয়ে চলতে হবে, কারণ
ধূমপান ফুসফুসের ক্ষতি আরও বাড়িয়ে দেয়।
শরীরের শক্তি যোগাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে পুষ্টিকর এবং
ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। ভালোভাবে হাত ধোয়া এবং হাসি পাশের সময় মুখ
ঢেকে রাখার মাধ্যমে অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানো থেকে বিরত থাকা যায়।
ডাক্তারের কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন অবস্থাতেই এন্টিবায়োটিক ওষুধ বন্ধ
করা উচিত নয়, না হলে সংক্রমণ আবার ফিরে আসতে পারে।
নিউমোনিয়া রোগের কারণ কি
নিউমোনিয়া রোগের প্রধান কারণ হলো বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক জীবানু, যার
মধ্যে ব্যাকটেরিয়া, যেমন
>স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনিয়া, সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটায়। এছাড়াও
ইনফ্লুয়েঞ্জা বা আরএসবি এর মত ভাইরাস থেকেও নিউমোনিয়া হতে পারে, যা
সাধারণত শত শিশু এবং বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা দেয়। কিছু ক্ষেত্রে ছত্রাক
ও নিয়মনীয় সৃষ্টি করতে পারে, তবে এটি সাধারণত তাদের হয়ে যাদের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব দুর্বল থাকে। এই জীবনে মূলত নিঃশ্বাসের মাধ্যমে
ফুসফুসের ভেতরে প্রবেশ করে এবং ছোট ছোট বায়ু থলিগুলোতে সংক্রমণ ও প্রদাহ
সৃষ্টি করে, যার ফলে সেখানে পৌষ বা পানি জমে যায়।
কিছু শারীরিক অবস্থা এবং পারিপার্শ্বিক কারণ নিউমোনিয়ালিটি অনেক বাড়িয়ে
দেয়, যেমন সাধারণ সর্দি কাশি বা ফ্লু জাতীয় অন্য কোন স্বাস্থতন্ত্রের
সংক্রমণ থেকে নিউমোনিয়া হতে পারে। যেসব মানুষের ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, বা
সিওপিডিই এর মত দীর্ঘদিনের সুখ রয়েছে, তাদের ফুসফুস দুর্বল থাকে বলে
সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। ধূমপান করা, বেশি মদ খাওয়া এবং অপুষ্টির কারণে
শরীর দুর্বল হয়ে যায়, ফলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং নিউমোনিয়ার
জীবনে সহজে আক্রমণ করতে পারে। দীর্ঘদিন ভর্তি থাকা বা বড় কোন অপারেশনের
পরে কিছু রোগী ্মত নিউমোনিয়া আক্রান্ত হতে পারে, যাকে হাসপাতাল
সংক্রমিত নিউমোনিয়া বলা হয়।
বড়দের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
বড়দের নিউমোনিয়ার একটি প্রধান লক্ষণ হল একটানা কাশি হওয়া, যা কক যুক্ত হতে
পারে এবং সেই কফের রং হলুদ বা সবুজ হতে পারে। প্রচন্ড জ্বর আসা, সারা শরীর
ঠান্ডা হয়ে যাওয়া এবং আগুন দিয়ে জ্বর আসা এই রোগের একটি সাধারন এবং খুবই
কষ্টদায়ক উপসর্গ। বুকের ভিতর বা পিঠের দিকে তীব্র ব্যাথা অনুভব করা বিশেষ করে
শ্বাস নেওয়ার সময় বা কাশি দিলে ব্যথা বেড়ে যাওয়া একটি নতুন লক্ষণ। দ্রুত
এবং ছোট ছোট শ্বাস নেওয়া এবং সাধারনভাবে শাড়ি নিতে কষ্ট হওয়া বড়দের
ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ার গুরুত্ব অবস্থা নির্দেশ করে।
এছাড়াও বয়স্কদের মধ্যে যদি কোন কারণে ছাড়া মানুষের ডিম ভ্রান্তি দেখা দেয়
বা তার সামান্য ধরেও খুব অসুস্থ বোধ করে তবে তা নিউমোনিয়াল লক্ষণ হতে পারে।
বড়দের নিউমোনিয়া হলে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী
পুরো এন্টিবায়োটিক কোর্স শেষ করাটা খুবই জরুরি, যা ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণ
দূর করতে সাহায্য করে।
শরীরকে সুস্থ করে তোলার জন্য দিনের বেলায় এবং রাতে যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম
নিতে হবে এবং ভারিকা এড়িয়ে চলতে হবে। প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার, যেমন পানি
এবং চা পান করা,শ্লেষ্মা পাতলা করতে সাহায্য করে এবং শরীরকে দুর্বল হওয়া থেকে
রক্ষা করে। ধূমপান বন্ধ করা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং ডাক্তারে পরামর্শ মেনে
চললে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।
বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হলে কি খাবার খেতে হবে
>বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হলে তাদের শরীরে শক্তি ধরে রাখার জন্য এমন খাবার দেওয়া
দরকার যা সহজে হজম হয় এবং পুষ্টি যোগায়। ঘরে তৈরি সবজি বা মুরগির সুপের
মতো গরম তরল খাবার শিশুর জন্য খুবই উপকারী, কারণে শিশুকে আরাম দেয় এবং শরীরে
পানির অভাব হতে দেয় না। কমলা বা পেঁপের রসের মতো ফল থেকে তৈরি রস ভিটামিন সি এবং
অন্যান্য প্রয়োজনে পুষ্টিতে ভর্তি থাকে, যা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
সাহায্য করে। নরম ভাত, পাতলা ডাল বা নরম খিচুড়ি মতো খাবার দেওয়া উচিত যা খেতে
সহজ এবং দ্রুত হজম হয়।
শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার করতে হলে, অসুস্থ অবস্থায় শিশুকে জোর
করে বেশি খাওয়ানো ঠিক নয়। সেসব নিউমোনিয়া চলাকালীন সময়ে বারে বারে অল্প
পরিমাণে দুধ বা ফর্মুলা দেওয়া চালিয়ে যাওয়া উচিত, কারণ একটি শিশুর শরীরে
প্রয়োজন পুষ্টি এবং সংক্রমণ রোধী ক্ষমতা সরবরাহ করে। >এই অসুস্থতার
সময় শিশুকে অতিরিক্ত তেল, মসলা বা ভাজাভুজি খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকতে, কারণ
সেগুলো হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
শিশুকে প্রচুর পরিমাণে পরিষ্কার পানি বা অন্যান্য তরল পান করতে উৎসাহিত করতে হবে,
যাতে শরীর থেকে ক্ষতিকারক জিনিসগুলো সহজে বেরিয়ে যেতে পারে। যদি শিশু একেবারে
কোন খাবার খেতে না চায় বাবার বমি করে, তাহলে দুশ্চিন্তা না করে দ্রুত ডাক্তারের
পরামর্শ নিতে হবে। শিশুদের খাবার দেওয়ার আগে পরিষ্কার করে দিতে এবং খাবার যেন
হালকা গরম থাকে সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে।
উপসংহারঃ শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
আজ আমরা এই পোাস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও
প্রতিকার এবং নিউমোনিয়া রোগের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিতভাবে সর্ম্পকে, যার
মধ্যে ছিল বড় ও ছোটদের ক্ষেত্রে রোগের লক্ষণ, চিকিৎসার পদ্ধতি এবং রোগের মূল
কারণগুলি। নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলো যেমন কাশি, জ্বর, এবং শ্বাসকষ্টের দ্রুত
শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের
প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ার কারণ, যেমন
ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ এবং এই সময় তাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার ও
যত্নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
লেখক হিসেবে আমার মতামত হলো, নিউমোনিয়ার মতো একটি গুরুতর রোগকে হালকাভাবে
নেওয়া উচিত নয়, বিশেষ করে যখন এর শিকার হয় শিশুরা বা বয়স্করা। প্রতিরোধমূলক
ব্যবস্থা, যেমন সঠিক সময়ে টিকা নেওয়া এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চলা,
সংক্রমণ এড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায়। আমি মনে করি, প্রত্যেকেরই উচিত লক্ষণ দেখা
মাত্র দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া, কারণ দ্রুত পদক্ষেপ জীবন বাঁচাতে
পারে।
সার্ভিস আইটির নিয়ম মেনে কমেন্ট করুন প্রত্যেকটা কমেন্টের রিভিউ করা হয়।
comment url