ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল - ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ

দাতের ব্যথায় করনীয়আজ এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন, ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল, খালি পেটে ডায়াবেটিস কত হলে স্বাভাবিক, প্রি-ডায়াবেটিস কত এবং কখন ডায়াবেটিস হিসেবে ধরা হয়, এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন। 
ভরা-পেটে-ডায়াবেটিস-কত-হলে-নরমাল
ডায়াবেটিসের বিপদসীমা, হাইপোগ্লাইসেমিয়া ও হাইপারগ্লাইসেমিয়ার মারাত্মক মাত্রা এবং গর্ভাবস্থায় শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়। কিভাবে আপনার ব্লাড সুগার নিরাপদ সীমার মধ্যে রাখবেন, তা জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল

ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল

ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল, সাধারণত খাবারের দুই ঘণ্টা পর রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা হয়,যা পোস্টপ্র্যান্ডিয়াল ব্লাড সুগার (PPBS) নামে পরিচিত। একজন সুস্থ ব্যক্তির জন্য ভরা পেটে সুগারের মাত্রা ১৪০ mg এর নিচে থাকা উচিত, যা স্বাভাবিক বলে বিবেচিত। যদি এই মাত্রা ১৪০ থেকে ১৯৯ এর মধ্যে থাকে, সেই অবস্থাকে প্রিডায়াবেটিস বলে ধরা হয়। প্রিডায়াবেটিস হলো ডায়াবেটিসের পূর্বাবস্থা এবং এই সময়ে লাইফস্টাইল এর পরিবর্তে আমার প্রয়োজন। ওরা পেটে রক্তে সুগারের পরিমাণ ২০০ মিলি বা তার বেশি হলে নিশ্চিতভাবে ডায়াবেটিস আছে বলে ধরে নেওয়া হয়।

ডায়াবেটিস সঠিকভাবে নির্ণয়ের জন্য ভরা পেটের পরীক্ষার পাশাপাশি খালি পেটের সুগার (FBS) এবং এইচবিএ১সি  পরীক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সুষম খাবার ও নিয়মিত ব্যায়াম খুব জরুরী। ডায়াবেটিস ধরা পড়লে আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ না করলে তা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের ক্ষতি করতে পারে। তাই নিয়মিত পরীক্ষা ও সচেতনতা ভবিষ্যতের রাতে সাহায্য করে।

খালি পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল

খালি পেটে রোজা বা উপবাসের পর রক্তের শর্করা মাত্রা সাধারণত ৭২ থেকে ৯৯ মিলিগ্রাম এর মধ্যে থাকা স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়, এবং এটি একজন সুস্থ মানুষের শারীরিক অবস্থা নির্দেশ। করে যদি খালি পেটে সরবরাহার মাত্রা নেট থেকে ১২৫ এর মধ্যে থাকে তবে সেই অবস্থা প্রি ডায়াবেটিস বা ইমপেয়ার্ড ফাস্টিং গ্রুপস বলা হয়, যা ভবিষ্যতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি নির্দেশ করে। রক্তে শর্করা মাত্রা যদি ১২৬ বা তার বেশি হয় এবং এটি কমপক্ষে দুবার পরিমাপ করা হয় তবে এটিকে সাধারণ ডায়াবেটিস হিসেবে গণ্য করা হয় তাই নিয়মিত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।


খালি পেটে এই স্বাভাবিক পরিসীমাটি একজন ব্যক্তির সামগ্রিক স্বাস্থের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শরীরের ইনসুলিন এবং হরমোনের প্রতি সঠিক প্রক্রিয়া জানানোর ক্ষমতাকে প্রতিফলিত করে। সুষম খাদ্য গ্রহণ নিয়মিত শারীরিক ব্যয়াম এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবন দ্বারা বজায় রাখার মাধ্যমে এই মাত্রাটির স্বাভাবিক সীমার মধ্যে রাখা সম্ভব। এইমাত্রা স্বাভাবিক রাখা ভবিষ্যতে গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতা যেমন, হৃদ রোগ, কিডনি রোগ এবং চোখের সমস্যা থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়

আসলে, রক্তে শর্করার কোনো নির্দিষ্ট মাত্রা নেই যা সরাসরি তাৎক্ষণিক মৃত্যুর কারণ হতে পারে, তবে চরমভাবে অস্বাভাবিক মাত্রাগুলি মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করে। রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি বেড়ে গেলে, যেমন সাধারণত ৬০০ mg ৩৫ মিমোল/লিটার বা তার বেশি হলে ডায়াবেটিক কেটোঅ্যাসিডোসিস  DKA বা হাইপার অসমোলার হাইপার গ্লাইসেমিক স্টেট HHS নামক জীবনঘাতী পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এই জটিলতাগুলো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে এবং জরুরি চিকিৎসা না পেলে তা কোমা বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

ঠিক তেমনি, রক্তের শর্করার মাত্রা খুব কম হয়ে গেলে সাধারণত ৭০ এমজি এর নিচে নেমে গেলে সেই অবস্থাকে আমি তো হাইপো গ্লাইসেমিয়ার ক্ষেত্রে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে, খিঁচুনি হতে পারে, এবং দ্রুত চিকিৎসা না পেলে এটিও মস্তিষ্কের ক্ষতির মাধ্যমে মৃত্যু ঘটাতে পারে। তাই ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনার লক্ষণ হল রক্তের শর্করার মাত্রা এই দুটি চরম সীমার বাইরে রেখে একটি নিরাপদ এবং স্থিতিশীল পরিসরে বজায় রাখা উচিত।

ডায়াবেটিসের পয়েন্ট তালিকা

১। খালি পেটে রক্তে গ্লুকোজ (FPG) এর মানদণ্ড: FPG পরীক্ষার ক্ষেত্রে, ৯৯ mg পর্যন্ত মান স্বাভাবিক হিসেবে বিবেচিত হয়। যখন মান ১০০ mg থেকে ১২৫ mg এর মধ্যে থাকে, তখন তা প্রি-ডায়াবেটিস নির্দেশ করে। এবং যদি FPG এর মান ১২৬ mg বা তার বেশি হয়, তবে তা ডায়াবেটিস নির্ণয়ের মানদণ্ড।
ভরা-পেটে-ডায়াবেটিস-কত-হলে-নরমাল
২। ২-ঘণ্টা OGTT এর মানদণ্ড: ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট (OGTT) করার ২ ঘণ্টা পরের রক্তে গ্লুকোজের মান ১৪০ mg পর্যন্ত স্বাভাবিক ধরা হয়। যদি এই মান ১৪০ mg থেকে ১৯৯ mg এর মধ্যে থাকে, তবে তা প্রি-ডায়াবেটিস এর ইঙ্গিত দেয়। আর OGTT এর ২ ঘণ্টা পরের মান ২০০ mg বা তার বেশি হলে তা ডায়াবেটিস হিসেবে গণ্য করা হয়।

৩। হিমোগ্লোবিন এ১সি পরীক্ষার মানদণ্ড পরীক্ষা, যা গত ২-৩ মাসের গড় রক্তে শর্করার মাত্রা প্রকাশ করে, তার মান ৫.৬% পর্যন্ত স্বাভাবিক। যখন এই মান ৫.৭% থেকে ৬.৪% এর মধ্যে থাকে, তখন তা প্রি-ডায়াবেটিস নির্দেশ করে। এবং এর মান যদি ৬.৫% বা তার বেশি হয়, তবে তা ডায়াবেটিস হিসেবে গণ্য করা হয়।

ডায়াবেটিস কত হলে ঔষধ খেতে হবে

সাধারণত দোকানে একজন ব্যক্তির লোকটি শর্করার মাত্রা ফ্রি ডায়াবেটিসের স্তর অতিক্রম হবে এবং ডায়াবেটিস হিসেবে নির্ণয় করা হয় তখনই হুজুর প্রয়োজন হতে পারে।, যদি খালি পেটে শর্করার মাত্রা ১০৬ তার বেশি থাকে অথবা এইচডিএ এর মান ৬.৫% বা তার বেশি হয় তবে প্রায় সই জীবনযাত্রার পরিবর্তন, যেমন খাদ্য ব্যায়ামের পাশাপাশি মেটফর্মিনের মত ওরাল ঔষধ শুরু করার পর আমার সাথে দেয়া হয়। তবে চিকিৎসার সিদ্ধান্তটি বয়স ওজন অন্যান্য স্বাস্থ্যগত অবস্থা এবং ত্রিপুরার মাত্রা কত দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসছে তার উপর নির্ভর করে চিকিৎসক চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।


কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রাথমিক পর্যায়ে শুধুমাত্র কঠোর জীবনযাত্রা পরিবর্তনের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক পরিসরে নিয়ে আসা সম্ভব হতে পারে। যদি লািইফস্টাইল পরিবর্তন করা সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রিত না হয়, বা যদি মাত্রাগুলো খুব বেশি হয় তবে ঔষধ বা ইনসুলিন থেরাপি শুরু হওয়া পর্যন্ত হয়ে ওঠে। দ্রুত এবং কার্যকর ভাবে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনলে ডায়াবেটিস সম্পর্কিত দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা গুলো প্রতিবাদ করা সম্ভব হয়।

ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল

ব্লাড সুগার বা রক্তে শর্করার মাত্রা খালি পেটে ১২৬ মিলি বা তার বেশি হলে এবং দুবার পরীক্ষায় এই ফলাফল এলে ডায়াবেটিস হিসেবে ধরা হয়। এছাড়াও,, খাবার দুই ঘন্টা পরে রক্তের সরকরার মাত্রা ২০০ মিলি বা তার বেশি হলেও। ডায়াবেটিস নির্দেশ করে, এইমাত্র গুলি শরীরের ইনসুলিন ব্যবহারের বা তৈরির অক্ষমতাকে প্রতিফলিত করে যার ফলে রক্তে অস্বাভাবিক পরিমাণে জমা হতে থাকে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ , নির্ণায়ক পরীক্ষা হল প্লাজমা ভুল কোস টেস্ট যেখানে দিনের বেলায় যে কোন সময় নেওয়া রক্তের শর্করার মাত্রা যদি ২০০ মিলি বা তার বেশি হয় এবং ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলি, যেমন অতিরিক্ত তৃষ্ণা ঘন ঘন প্রসাদ প্রত্যাশিত ওজন হ্রাস, উপস্থিত থাকে তবে ডায়াবেটিসের উপস্থিতি নিশ্চিত করে। এই সমস্ত মাত্রাগুলি আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন ADA এবং বিশ্বাস স্বাস্থ্য সংস্থা WHO এর মত প্রমানিক সংস্থাগুলির দ্বারা নির্ধারিত হয়েছে।

ব্লাড সুগার কত হলে ডায়াবেটিস হয়

গর্ভ অবস্থায় ডায়াবেটিস,, যা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বা জিডিসি নামে পরিচিত এর ক্ষেত্রে রক্তের শর্করার মাত্রাগুলো অনেক কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ এবং শারীরিক কাজলের মাধ্যমে সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয় যদি এই জীবনধারা পরিবর্তন সত্ত্বেও খালি পেটে সরবরাহ মাত্রা ৯৫ মিলিয়ে উপরে থাকে, অথবা খাবার খাওয়ার এক ঘন্টা পরে ১৪০ মিলিয়ে উপরে থাকে, কিংবা খাবার দুই ঘন্টা পরে ১২০ মিলি এর উপরে থাকে, তবে ইনসুলিন থেরাপি শুরু করার প্রয়োজন হতে পারে।


গর্ভ অবস্থায় ইনসুলিনকে সাধারণত সবচেয়ে নিরাপদ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি মায়ের রক্ত থেকে শিশুর কাছে যায় না এবং শিশুর স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে নাভ গর্ব অবস্থায় রক্তের শর্করা কোঠর নিয়ন্ত্রণ মা ও শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস শিশুর জন্মগত ত্রুটি, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি, এবং প্রসব বাড়িয়ে দিতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়

গর্ভ অবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের প্রথম এবং প্রধান উপায় হল একটি সুনিশ্চিত স্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিকল্পনা অনুসরণ করা, যা শর্করা এবং ভ্যাট এর পরিমাণ সীমিত করে। একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে এমন খাবার খাওয়া উচিত যার রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাতে সাহায্য করে, যেমন মাত্র খাবার, কম ইনডেক্স যুক্ত কার্বোহাইডেট এবং স্বাস্থ্যকর প্রোটিন। ছোট ছোট এবং ঘন ঘন খাবার খাওয়া রক্তে শর্করা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

খাদ্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, নিয়মিত এবং হালকা ব্যায়াম করা গর্ভ অবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিদিন ৩০ মিনিটের মতো আটা বা সাপারের মতো হালকা শারীরিক ব্যায়াম ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।, যদি খাদ্য এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা হয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইনসুলিন অন্যান্য অনুমোদিত ঔষধ গ্রহন করতে হবে।

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণের প্রথম এবং প্রধান উপায় হল, একটি সুনিশ্চিত স্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিকল্পনা অনুসরণ করা যা শর্করা এবং হেডের মাত্রা সীমিত করে। একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে এমন খাবার খাওয়া উচিত বিচারকদের শর্করার মাত্র স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে, যেমন উচ্চ ফাইবালযুক্ত খাবার, এবং স্বাস্থ্যকর প্রোটিন। ছোট ছোট এবং ঘন ঘন খাবার খাওয়া রক্তের শর্করার দ্রুত বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ভরা-পেটে-ডায়াবেটিস-কত-হলে-নরমাল
খাদ্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, নিয়মিত এবং হালকা ব্যায়াম করা গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিদিন ৩০ মিনিটের মতো হাটা করার মতো হালকা শারীরিক ব্যায়াম ইনসুলেনের সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। যদি খাদ্য এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে উক্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইনসুলিন বা অন্যান্য অনুমোদিত ঔষধ গ্রহণ করতে হবে।

ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ

রক্তের শর্করার মাত্র যখন অতিরিক্ত বেশি বা অতিরিক্ত কম হয়ে যায়, তখনই তা বিপদ সংকেত দেয় এবং তাৎক্ষণিক মনোযোগ দাবি করে। যদি রক্তের শর্করার মাত্রা ১৮০ মিলি এর উপরে থাকে এবং দীর্ঘ সময় ধরে তা নিয়ন্ত্রণে না আসে, তবে তা ভবিষ্যতের জটিলতা যেমন , কিডনি ফেলিওর, অন্ধত্ব স্নায়ুর ক্ষতি এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। অন্য দিকে, যদি রক্তে শর্করার মাত্রা ৫০০ মিলি এর বেশি হয়, তবে উপরে উল্লেখিত DKA বা HHS এর মত জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়াও, রক্তের শর্করার মাত্রা ৭০ মিলি এর নিচে নেমে গেলে তা হাইপোগ্লাইসেমিয়া সৃষ্টি করে যাতে আপনি চিকিৎসার প্রয়োজন। এ অবস্থায় মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, হওয়া এবং রিদ ইস্পন্দন বৃদ্ধি পাওয়ার মত লক্ষণ দেখা যায়। চরম হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা শর্করার মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ার যেকোনো অবস্থায় জীবন হুমকির কারণ হতে পারে, তাই ডায়াবেটিকস রোগীদের অবশ্যই নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

উপসংহারঃ ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল

আজ আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম, ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিক জ্ঞান অত্যাবশ্যক। খালি পেটে শর্করার মাত্রা ৯৯ mg পর্যন্ত স্বাভাবিক এবং ১২৬ mg বা তার বেশি হলে ডায়াবেটিস ধরা হয়, যেখানে ১০০ থেকে ১২৫ mg প্রি-ডায়াবেটিস। খাবার ২ ঘণ্টা পর ১৪০ mg পর্যন্ত স্বাভাবিক, আর ২০০ mg বা তার বেশি ডায়াবেটিস নির্দেশ করে। HbA1c-এর মান ৬.৫% বা বেশি হওয়াও ডায়াবেটিসের নির্ণায়ক। রক্তে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত বেশি ৬০০ mg বা খুব কম ৭০ mg হলে তা জীবনঘাতী জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। গর্ভাবস্থায় এই মাত্রাগুলিকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং প্রয়োজনে ইনসুলিন ব্যবহার করা হয়। 

আমার মত হলো, ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনার মূলমন্ত্র হলো একটি সঠিক লাইফস্টাইল। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা এবং ঔষধ ব্যবহারের পাশাপাশি সুষম খাদ্য ও দৈনিক ব্যায়ামের মাধ্যমে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এই সচেতনতা এবং সঠিক পদক্ষেপগুলি দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা যেমন হৃদরোগ, কিডনি ফেইলিউর ও স্নায়ুর ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসকে গুরুত্ব সহকারে মোকাবিলা করে যে কেউ সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সার্ভিস আইটির নিয়ম মেনে কমেন্ট করুন প্রত্যেকটা কমেন্টের রিভিউ করা হয়।

comment url

Md. Sanjid Ali
Md. Sanjid Ali
একজন ব্লগার/কন্টেন্ট লেখক। আধুনিক জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও জ্ঞান নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি। এখানে আপনি অনলাইন ইনকামের নানা কৌশল, স্বাস্থ্য,চিকিৎসা, রুপচর্চা বর্তমান লাইফস্টাইল সম্পর্কিত টিপস, এবং প্রযুক্তি ও ব্লগিং-এর অজানা দিকগুলো জানতে পারবেন।