বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত
আমার সোনার বাংলা: আমাদের জাতীয় সংগীত
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি'। এটি বাঙালি জাতির আবেগ, ভালোবাসা এবং আত্মপরিচয়ের এক চিরন্তন প্রতীক। এই কালজয়ী গানটি রচনা করেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এটি রচিত হয়েছিল ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে, যা তৎকালীন বাংলা অঞ্চলের মানুষের ঐক্য ও ভালোবাসাকে তুলে ধরেছিল।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই গানটি বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেছিল এবং ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর এই গানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এটি শুধু একটি গান নয়, এটি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এবং একটি জাতির স্বপ্ন ও আত্মত্যাগের প্রতিচ্ছবি।
জাতীয় সংগীতের পূর্ণাঙ্গ রূপ
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে—
ও মা, অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥
কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো,
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে—
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো॥
মরি হায়, হায় রে—
মা, তোর বদন খানি মলিন হলে আমি নয়ন।
ওমা আমি নয়ন জলে ভাষি,
সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
জাতীয় সংগীত আমাদের সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে এবং আমাদের সংস্কৃতির গৌরব স্মরণ করিয়ে দেয়। এটি প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে এক গভীর আবেগ ও গর্বের জন্ম দেয়।
সার্ভিস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;
comment url