জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে চেক করার নিয়ম | Online Birth Certificate Check BD
পোস্ট সূচীপত্রঃ
জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে চেক করার নিয়ম
- জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে চেক করার নিয়ম
- জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে কিভাবে চেক করবেন
- Online Birth Certificate Check BD করতে কি কি লাগবে
- জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে অনলাইনে চেক করার উপায়
- জন্ম নিবন্ধন নম্বর ছাড়া জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে চেক করা যাবে কি
- জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে চেক করতে সমস্যা হলে করণীয়
- জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা
- বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধন চেক করার অফিসিয়াল তথ্য
- উপসংহারঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে চেক করার নিয়ম
জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে চেক করার নিয়ম (Online Birth Certificate Check BD)
আজ আমারা এই পোস্টের মাধ্যেমে আলোচনা করব “জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে চেক করার নিয়ম”। বর্তমানে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন চেক করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের একমাত্র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হলো everify.bdris.gov.bd। এই পোর্টালে প্রবেশ করে নাগরিকরা খুব সহজেই তাদের জন্ম নিবন্ধনের ডিজিটাল অস্তিত্ব এবং তথ্যের সঠিকতা যাচাই করে নিতে পারেন। সঠিক নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে ওয়েবসাইটে থাকা নির্ধারিত বক্সে আপনার ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি নির্ভুলভাবে টাইপ করতে হবে। এরপর আপনার জন্ম তারিখটি ক্যালেন্ডার থেকে সঠিক ফরম্যাটে (বছর-মাস-দিন) নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি একটি ধাপ। সবশেষে নিচের ক্যাপচা বা ছোট একটি গাণিতিক প্রশ্নের সমাধান দিয়ে সার্চ বাটনে ক্লিক করলেই আপনার নিবন্ধনের সব তথ্য স্ক্রিনে চলে আসবে।
সঠিকভাবে জন্ম নিবন্ধন চেক করার প্রধান শর্ত হলো আপনার কাছে ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল নম্বরটি থাকা, কারণ পুরাতন ১৩ ডিজিটের নম্বর দিয়ে এখন আর সার্ভারে তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় না। যদি সার্চ করার পর তথ্য না দেখায়, তবে বুঝতে হবে আপনার নিবন্ধনটি এখনো অনলাইন করা হয়নি এবং সেক্ষেত্রে দ্রুত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে। নিবন্ধনের তথ্য দেখার পর নাম বা ঠিকানায় কোনো ভুল নজরে পড়লে তা অবহেলা না করে দ্রুত সংশোধনের জন্য অনলাইন আবেদন করা উচিত।
সবসময় মনে রাখবেন যে সরকারি এই সেবাটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া যায় এবং এর মাধ্যমে আপনি পাসপোর্ট বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য নিজের নিবন্ধনের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেন। ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার জন্য অন্য কোনো ভুয়া ওয়েবসাইটে তথ্য প্রদান না করে সরাসরি সরকারি পোর্টাল ব্যবহারের মাধ্যমেই আপনার ডিজিটাল সব কাজ সম্পন্ন করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে কিভাবে চেক করবেন
Online Birth Certificate Check BD করতে কি কি লাগবে
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার জন্য আপনার কাছে কিছু নির্দিষ্ট তথ্য থাকা আবশ্যক যা ছাড়া সার্ভারে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। প্রধানত আপনার জন্ম নিবন্ধনের কার্ডে থাকা ১৭ ডিজিটের ইউনিক আইডি নম্বরটি এই প্রক্রিয়ার মূল চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করে। এই নম্বরটি ছাড়া ডিজিটাল সিস্টেম আপনার ব্যক্তিগত প্রোফাইলটি খুঁজে পেতে সক্ষম হয় না।
নম্বরটির পাশাপাশি আপনার সঠিক জন্ম তারিখটি দিন, মাস এবং বছরের ক্রমানুসারে প্রদান করতে হয় যা নিবন্ধনে উল্লেখ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় জন্ম তারিখ ভুল দেওয়ার কারণে সার্ভারে রেকর্ড খুঁজে পাওয়া যায় না, তাই এটি টাইপ করার সময় সতর্ক থাকা জরুরি। এই দুটি তথ্য সঠিকভাবে থাকলে আপনি খুব সহজেই আপনার ডিজিটাল সনদের কপিটি অনলাইনে দেখতে এবং ডাউনলোড করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন নম্বর থাকলে
আপনার কাছে যদি ইতিমধ্যে ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি থাকে, তবে অনলাইন যাচাইকরণ প্রক্রিয়াটি আপনার জন্য খুব সহজ হবে। এই ডিজিটাল নম্বরটি সাধারণত প্রতিটি নতুন জন্ম নিবন্ধন কার্ডের উপরের অংশে স্পষ্ট অক্ষরে লেখা থাকে। এটি সংগ্রহ করে আপনি সরাসরি সরকারি পোর্টালে গিয়ে আপনার তথ্যগুলো মিলিয়ে নিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
নম্বরটি হাতে পাওয়ার পর সেটি কোনো ভুল ছাড়াই নির্ধারিত বক্সে টাইপ করুন এবং পরবর্তী ধাপগুলো অনুসরণ করুন। ডিজিটাল নম্বর থাকলে সার্ভারে আপনার নাম, পিতার নাম এবং মাতার নামসহ সব তথ্য কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই চলে আসবে। এর ফলে আপনাকে আর ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে বারবার লাইন দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে না।
জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকলে
যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ডটি অনেক পুরাতন হয় এবং সেখানে ১৭ ডিজিটের নম্বর না থাকে, তবে সরাসরি অনলাইনে চেক করা সম্ভব হবে না। পুরাতন অনেক কার্ডে ১৩ ডিজিটের নম্বর থাকে যা বর্তমান অনলাইন সার্ভারে সমর্থন করে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে আপনার নিবন্ধনটি ডিজিটাল করার জন্য আবেদন করতে হবে।
ডিজিটাল আবেদন করার পর আপনাকে একটি নতুন ১৭ ডিজিটের নম্বর প্রদান করা হবে যা পরবর্তীতে সব অনলাইন কাজের জন্য ব্যবহৃত হবে। এই নম্বরটি একবার তৈরি হয়ে গেলে আপনি সারা জীবন যেকোনো জায়গা থেকে আপনার তথ্য অনলাইনে যাচাই করতে পারবেন। তাই দ্রুত আপনার পুরাতন কার্ডটি বর্তমান ডাটাবেজের অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে অনলাইনে চেক করার উপায়
১ম ধাপঃ জন্ম নিবন্ধন চেক করার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
২য় ধাপঃ জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জন্ম তারিখ বসানো
সাইটটি ওপেন হলে আপনি "Birth Registration Number" নামক একটি বক্স দেখতে পাবেন যেখানে আপনার ১৭ ডিজিটের আইডিটি লিখতে হবে। প্রতিটি সংখ্যা নিখুঁতভাবে বসান এবং নিশ্চিত হোন যে কোনো ঘর ফাঁকা বা ভুল টাইপ হয়নি। এরপর নিচের বক্সে আপনার জন্ম তারিখটি ক্যালেন্ডার থেকে সঠিক ফরম্যাটে সিলেক্ট করুন।
জন্ম তারিখ বসানোর সময় সাধারণত বছর, মাস এবং দিন এই ক্রম অনুসরণ করতে হয় যা পোর্টালে উল্লেখ থাকে। এই ধাপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ একটি সংখ্যা ভুল হলেই সার্ভার থেকে "Record Not Found" মেসেজ আসতে পারে। তাই সাবমিট করার আগে দুবার তথ্যগুলো মিলিয়ে নেওয়া আপনার সময় বাঁচাবে।
৩য় ধাপঃ সাবমিট করে তথ্য দেখার পদ্ধতি
সব তথ্য দেওয়ার পর নিচে একটি ক্যাপচা কোড বা ছোট অংকের সমাধান দেখতে পাবেন যা রোবট যাচাইয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। সেই অংকটির সঠিক উত্তর পাশের বক্সে লিখে "Search" বাটনে ক্লিক করুন। যদি আপনার দেওয়া তথ্য সঠিক থাকে, তবে পরবর্তী পৃষ্ঠায় আপনার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনের বিস্তারিত রূপ চলে আসবে।
এখানে আপনি আপনার নাম, ঠিকানা এবং নিবন্ধনের তারিখসহ যাবতীয় তথ্য দেখতে পাবেন যা দেখে আপনি সনদের সঠিকতা নিশ্চিত করতে পারেন। প্রয়োজনে আপনি এই পেজটি পিডিএফ হিসেবে সেভ করে রাখতে পারেন অথবা সরাসরি প্রিন্ট দিয়ে নিতে পারেন। এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সাধারণত দুই থেকে তিন মিনিটের বেশি সময় লাগে না।
জন্ম নিবন্ধন নম্বর ছাড়া জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে চেক করা যাবে কি
না, বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন নম্বর ছাড়া শুধুমাত্র নাম বা পিতার নাম দিয়ে অনলাইনে চেক করার কোনো সুবিধা নেই। নিরাপত্তার কারণে এবং সঠিক ব্যক্তি শনাক্ত করতে সিস্টেম শুধুমাত্র ১৭ ডিজিটের ইউনিক আইডির ওপর নির্ভর করে। তাই আপনার কাছে এই নম্বরটি না থাকলে সার্ভারে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া অসম্ভব।
যদি আপনার নম্বরটি হারিয়ে যায়, তবে আপনাকে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে। সেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করলে তারা তাদের রেজিস্টার খাতা থেকে আপনার নম্বরটি খুঁজে দিতে সাহায্য করবে। একবার নম্বরটি পেয়ে গেলে আপনি পুনরায় অনলাইন পোর্টাল ব্যবহার করে আপনার সার্টিফিকেটটি ভেরিফাই করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে চেক করতে সমস্যা হলে করণীয়
অনেকে অনলাইনে তথ্য দেওয়ার পরেও "No Record Found" এমন সমস্যার সম্মুখীন হন যা বেশ বিরক্তিকর হতে পারে। এর পেছনে প্রধান কারণ হতে পারে আপনার তথ্যগুলো এখনো অনলাইন ডাটাবেজে এন্ট্রি করা হয়নি। অনেক পুরাতন হাতে লেখা নিবন্ধনগুলো ডিজিটাল করার সময় ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের ভুলের কারণেও এমনটা হতে পারে।
এমন সমস্যা দেখা দিলে আপনাকে নিকটস্থ নিবন্ধন কার্যালয়ে গিয়ে আপনার সনদের কপিটি প্রদর্শন করতে হবে। তারা তাদের কেন্দ্রীয় সার্ভারে আপনার তথ্যটি আপডেট করে দিলে পুনরায় অনলাইনে তা দেখা যাবে। নিয়মিত আপনার তথ্য অনলাইনে চেক করে দেখা উচিত যাতে জরুরি প্রয়োজনে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়।
তথ্য না দেখালে কি করবেন
যদি আপনার তথ্য অনলাইনে না দেখায়, তবে বুঝবেন আপনার জন্ম নিবন্ধনটি এখনো সনাতন বা এনালগ পদ্ধতিতে রয়ে গেছে। এটি সমাধানের জন্য আপনাকে বর্তমান ঠিকানার ইউনিয়ন পরিষদ বা কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে নতুন করে অনলাইন করার আবেদন করতে হবে। সেখানে তারা আপনার পুরাতন কার্ডের তথ্য নিয়ে সার্ভারে নতুন করে ইনপুট দেবে।
আবেদন করার পর একটি নির্দিষ্ট সময় শেষে আপনার হাতে নতুন ১৭ ডিজিটের নম্বর সম্বলিত একটি ডিজিটাল কার্ড আসবে। এরপর থেকে আপনি নিয়মিত অনলাইনে আপনার নিবন্ধনের আপডেট দেখতে পারবেন এবং সব সরকারি কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং সামান্য সরকারি ফি জমা দিতে হতে পারে।
ভুল দেখালে কিভাবে সংশোধন করবেন
অনলাইনে চেক করার পর যদি আপনার নাম বা অন্য কোনো তথ্যে ভুল পান, তবে দ্রুত সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করুন। ভুল তথ্য সম্বলিত সনদ নিয়ে ভবিষ্যতে পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতে গেলে আপনি বড় ধরণের জটিলতায় পড়তে পারেন। তাই ভুল পাওয়ার সাথে সাথেই সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করা একান্ত জরুরি।
সংশোধনের জন্য বিডিআরআইএস পোর্টালে গিয়ে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হয় এবং প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র সংযুক্ত করতে হয়। এরপর সেই আবেদনের প্রিন্ট কপি অফিসে জমা দিলে তারা আপনার তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে সংশোধন করে দেবে। সঠিক তথ্য সংশোধন হওয়ার পর আপনি পুনরায় অনলাইনে চেক করে নতুন কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা
অনলাইন চেকের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি জালিয়াতি রোধ করে এবং সনদের বিশ্বস্ততা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যেকোনো জায়গায় আপনার সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার আগে আপনি নিজেই এর সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন। এটি সময় সাশ্রয়ী এবং সরকারি সেবা মানুষের হাতের নাগালে নিয়ে আসার একটি অন্যতম মাধ্যম।
তবে এর কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে, যেমন সার্ভারের অতিরিক্ত লোড থাকলে সাইটটি ধীরগতিতে কাজ করতে পারে। এছাড়া যারা প্রযুক্তিবান্ধব নন, তাদের জন্য এটি ব্যবহার করা কিছুটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। গ্রামীণ পর্যায়ে ইন্টারনেটের অভাব অনেক সময় নাগরিকদের এই ডিজিটাল সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখে যা উন্নতির দাবি রাখে।
বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধন চেক করার অফিসিয়াল তথ্য
বাংলাদেশে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের যাবতীয় কাজ রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হয় যা স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি অংশ। নাগরিকদের সব তথ্য কেন্দ্রীয় একটি সার্ভারে অত্যন্ত গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তার সাথে সংরক্ষণ করা হয়। এই অফিসিয়াল পোর্টালটি ব্যবহার করেই দেশের সব ধরণের সরকারি সেবা নিশ্চিত করা হয়।
অফিসিয়াল কোনো ঘোষণা বা নিয়ম পরিবর্তনের খবর জানতে হলে সব সময় সরকারি ডোমেইন সম্বলিত ওয়েবসাইটে নজর রাখুন। কোনো দালালের মাধ্যমে তথ্য যাচাই বা সংশোধনের চেষ্টা করবেন না, কারণ এতে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সরাসরি সরকারি নির্ধারিত পোর্টালে আপনার সব ব্যক্তিগত কাজ সম্পন্ন করা সবচেয়ে নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী উপায়।
জন্ম নিবন্ধন চেক করতে কি টাকা লাগে
না, অনলাইনে নিজের জন্ম নিবন্ধন নিজে চেক করার জন্য কোনো প্রকার সরকারি ফি বা টাকা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। এটি সরকারের পক্ষ থেকে নাগরিকদের জন্য একটি সম্পূর্ণ ফ্রি সেবা যা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। তবে আপনি যদি কোনো কম্পিউটার দোকান থেকে এটি প্রিন্ট করেন, তবে তারা তাদের সার্ভিস চার্জ রাখতে পারে।
অনেক অসাধু ব্যক্তি জন্ম নিবন্ধন চেক করে দেওয়ার নামে টাকা দাবি করতে পারে, যা থেকে সাবধানে থাকা উচিত। আপনি নিজের হাতে থাকা স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে কোনো খরচ ছাড়াই এই কাজটি সম্পন্ন করতে পারেন। এটি ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি অন্যতম বড় প্রাপ্তি যা সাধারণ মানুষের হয়রানি অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে।
মোবাইল দিয়ে কি জন্ম নিবন্ধন চেক করা যায়
হ্যাঁ, বর্তমানে যেকোনো স্মার্টফোন ব্যবহার করে খুব সহজেই জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে চেক করা সম্ভব। ফোনের ব্রাউজারে গিয়ে পিসি ভার্সনের মতোই আপনি সরকারি পোর্টালে প্রবেশ করতে পারবেন এবং সব তথ্য ইনপুট দিতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে চেক করার সময় শুধু নিশ্চিত হোন যে আপনার ইন্টারনেট কানেকশনটি স্থিতিশীল আছে।
মোবাইলে চেক করার সময় আপনি চাইলে রেজাল্ট পেজটির স্ক্রিনশট বা পিডিএফ কপি মোবাইলের মেমোরিতে সেভ করে রাখতে পারেন। এটি আপনাকে জরুরি অবস্থায় আপনার নিবন্ধনের তথ্য তাৎক্ষণিক প্রদর্শনে সাহায্য করবে। বর্তমান যুগে হাতের নাগালে থাকা ফোনের মাধ্যমেই এই সব জটিল সরকারি কাজ করা এখন অনেক বেশি সহজ হয়ে গেছে।
কত পুরনো জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে পাওয়া যায়
সাধারণত ২০০৪ সাল বা তার পরবর্তীতে যারা জন্ম নিবন্ধন করেছেন এবং যাদের তথ্য ডিজিটাল ডাটাবেজে তোলা হয়েছে তাদের সব তথ্যই অনলাইনে পাওয়া যায়। এমনকি অনেক পুরাতন নিবন্ধনগুলো যারা গত কয়েক বছরে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে আপডেট করেছেন তাদের তথ্যও এখন সার্ভারে বিদ্যমান। আপনার নিবন্ধনটি কত পুরাতন তার চেয়ে জরুরি হলো সেটি ডিজিটাল করা হয়েছে কি না।
যদি আপনার নিবন্ধনটি হাতে লেখা এবং অনেক আগের হয় যা এখনো আপডেট করা হয়নি, তবে সেটি অনলাইনে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ডিজিটাল যুগে টিকে থাকতে হলে আপনার সেই পুরাতন সনদটি আধুনিক সার্ভারের সাথে যুক্ত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই সময় থাকতে আপনার বা আপনার পরিবারের সদস্যদের পুরাতন সনদগুলো ডিজিটাল করিয়ে নেওয়া আপনার জন্য কল্যাণকর হবে।



সার্ভিস আইটির নিয়ম মেনে কমেন্ট করুন প্রত্যেকটা কমেন্টের রিভিউ করা হয়।
comment url